কানাডায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা শুরু

কানাডার ক্যালগেরিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়ে গেল ‘আমরা সবাই’-এর এক দিনব্যাপী ভার্চুয়াল পূজার মাধ্যমে। ১১ থেকে ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত ক্যালগেরির বাংলাদেশ পূজা পরিষদ দেবীর আরাধনা করছে পঞ্জিকার তিথি অনুযায়ী।

করোনাকালে শুধু মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সব আয়োজন। বয়স্ক ব‌্যক্তি ও শিশুদের ইচ্ছা থাকলেও এবার পূজা মন্দিরে আসতে পারছেন না। ভক্তের সংখ্যানুপাতে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলি এবং অনলাইনে পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এবার দুর্গাপূজায় স্বাস্থ্যবিধি ও গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা ও নির্দিষ্ট থাকবে। প্রবেশকালে ডাবল ভ্যাকসিনেশনের সনদপত্র দেখাতে হবে। পূজামণ্ডপে আসা সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ভক্তবৃন্দকে নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই মিটার) বজায় রেখে লাইন ধরে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে হবে এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যেতে হবে। মন্দিরের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা থাকবে।

গত বছরের মতো এ বছরও আলোকউজ্জ্বল আর সূক্ষ্ণ ছোঁয়ায় সাজানো হবে না পূজামণ্ডপ। নানা মাত্রিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলবে দেবী দুর্গার আরাধনা। একে অন্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে পূজামণ্ডপে নেয়া হবে বিশেষ সতর্কতা। সেই মিলনমেলা মূলত হবে ভার্চুয়ালি।

ক্যালগেরির ‘আমরা সবাই’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রূপক দত্ত বলেন: আসছে শুভ দিনে মায়ের আশীর্বাদে দেশে ও বিশ্বের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে, আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর হয়ে উঠবে, করোনাসহ সকল পাপ ও পঙ্কিলতা দূর হয়ে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি কিরণ বণিক শংকর বলেন, সকল ধর্মীয়রীতি মেনেই পূজা হবে তবে ‘উৎসবের নামে সুইসাইড’ করার কোনো অর্থ নাই। পূজার আয়োজকরা আশা করছি এই ধরনের অবিবেচক সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবেন। বিশ্ব জননী তিনি সংকট নাশিনী, তিনিই সকল সংকট নাশ করে আবারও ধরাতে স্বাভাবিক জীবন ও পূজার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।

দেশের মাটিতে পা রাখতে না পারলেও কানাডায় সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাঙ্গালিরা দুর্গাপূজাকে ঘিরে মেতে উঠবেন আনন্দ উৎসবে। দেবীর পায়ে অঞ্জলি আর দর্শনের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর সুখ ও শান্তি কামনা করে করবেন প্রার্থনা।

কানাডার অন্যান্য প্রদেশেও স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে নেয়া হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। তাছাড়া নব প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় সত্ত্বাকে তুুলে ধরতে অনেকেই উদযাপন করবেন ভার্চুয়াল পূজা।

বিজ্ঞাপন

কানাডাক্যালগেরিদুর্গাপূজা