সোনালী এবং বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিকে ডাকাতি ও লুটপাটের সঙ্গে তুলনা করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ওই ক্ষরণ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এর ধকলে পুরো রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকিং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
বুধবার রাষ্ট্রায়াত্ত খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের অন্যতম জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোনারগাঁও হোটেলে উদ্বোধনী পর্বের শুরুতেই ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ২০১৫ সালের কর্মকাণ্ডের বিবরণী তুলে ধরেন।
তার তথ্যমতে আমানত সংগ্রহ, পরিচালন মুনাফা, নিট মুনাফা ও কুঋণ কমানোসহ ১২টি সূচকে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ভালো করেছে জনতা ব্যাংক। তাতে অবশ্য সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রায়াত্ত খাতের ব্যাংক নিয়ে উদ্বেগ কমেনি অর্থমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরে মোটামুটিভাবে একটি সচলতা রয়েছে। এবং সেখানে সরকারি খাত বেশ কিছু ঝামেলার সৃষ্টি করেছে। একদিকে সোনালী ব্যাংক, যেখানে বড় ধরণের একটি ডাকাতি বা জালিয়াতি হয়েছে। অন্য দিকে বেসিক ব্যাংক, যেখানকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ব্যাংকটিকে লুট করার চেষ্টা করেছেন।
অনুষ্ঠানে জেগে ওঠা গ্রামের অর্থনীতিকে আরো চাঙ্গা করতে গ্রামীণ উদ্যোগকে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, গ্রামের অর্থনীতি আগের ধারণা থেকে সরে এসেছে। অনেক পরিবর্তন এসেছে বিভিন্ন দিক থেকে।
বিনিয়োগ এবং সহায়তার জন্য সেদিকে বেশি নজর দিতে সবাইকে আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার জন্য জামানতবিহীন ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কথা বলেন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম. আসলাম আলম।
তিনি বলেন, ঋণ গ্রহীতারা মর্টগেজ দিতে চান না। এটি একটি বড় সমস্যা। মর্টগেজ ছাড়া ব্যক্তিগত গ্যারান্টিতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া যায়। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা ঋণ এখন আর কেউ নিতে চায় না বলেও জানান সচিব।
১৯৭২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪টি বিদেশী শাখাসহ ৯০৮ টি শাখা নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জনতা ব্যাংক। এরই মধ্যে ৫০৩ টি শাখায় অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাও চালু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন