পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের আসল বয়স কত এমন প্রশ্নে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বহুবার। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে এখনো খেলেই চলেছেন মালিক, খেলবেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও। শুধু মালিকই নন, জাতীয় দলে তার সাবেক সতীর্থ শহিদ আফ্রিদির বয়স নিয়েও সমান কৌতূহল ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে।
আসলে মালিক-আফ্রিদিই নন, ক্রিকেটারদের বয়সই ভীষণ রকমের রহস্য ঘেরা! তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন এই জেনে যে, একজন ক্রিকেটার অন্তত আসল বয়সটা ফাঁস করেছেন। আত্মজীবনীতে নিজের আসল জন্মসালটা জানিয়েছেন শহিদ আফ্রিদি!
সম্প্রতি বাজারে এসেছে আফ্রিদির জীবন কথা ‘গেম চেঞ্জার’। সেখানে পাকিস্তানিদের সাবেক অলরাউন্ডার তার জন্মসাল লিখেছেন ১৯৭৫। অথচ পাকিস্তানের পাসপোর্টে লেখা আছে তার বয়স ১ মার্চ, ১৯৮০!
১৯৯৬ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে নাইরোবিতে জাতীয় দলে অভিষেক হয় আফ্রিদির। প্রথম ম্যাচেই ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে নিজের করে নেন সবচেয়ে দ্রুততম শতকের রেকর্ডটি। পাকিস্তানের হিসেবে মাত্র ১৬ বছরে সেঞ্চুরিটি করেছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু এখন জানা গেল তার রেকর্ডটি ছিল ২১ বছর বয়সে!
বিষয়টি ঘোলা করেছেন আফ্রিদি নিজেই। এক টুইটে স্বীকার করেছেন তার বয়স লুকিয়েছে পাকিস্তান, ‘অবগতির জন্য জানাচ্ছি তখন আমার বয়স ছিল ১৯। তারা যে ১৬ বলেছেন সেটা ঠিক নয়। আমার জন্ম ১৯৭৫ সালে। হ্যাঁ, কর্তৃপক্ষ আমার বয়স কম দেখিয়েছে।’
কিন্তু এই টুইটে ঝামেলা বাড়ছে আরও। কারণ ১৯৭৫ সালে জন্ম হলে ১৯৯৬ সালে আফ্রিদির বয়স হওয়ার কথা ২১। কিন্তু তিনি নিজেই বলছেন যে তার বয়স ছিল ১৯, অর্থাৎ নিজেই নিজের বয়স লুকাচ্ছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
বিতর্ক সামনে বাড়বে আরও এক কারণে। ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনূর্ধ্ব-১৯ সিরিজ খেলে সরাসরি কেনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন আফ্রিদি। যদি তখন তার বয়স ২১ হয় তাহলে আফ্রিদি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে খেলেন কীভাবে? প্রশ্ন উঠে যায়, পাকিস্তান বোর্ডই কী তবে জেনেশুনে বয়স কমিয়ে রেখেছিল আফ্রিদির?
২০১০ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আফ্রিদি। ২০১৬ সালে শেষ খেলেছেন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে। ধরে নেয়া হচ্ছে পাকিস্তানের হয়ে সেটাই তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যদি পাসপোর্টের বয়স দিয়ে হিসেব করা হয় তাহলে ৩৬ বছর বয়সে শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন আফ্রিদি। আর তার আসল বয়স হিসেব করলে বয়সটা ৪০ কিংবা ৪১। আসলে কোনটা সঠিক?
বিজ্ঞাপন