Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

মাদক গডফাদারদের অবৈধ ১৭৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশ

Advertisements

মাদক ব্যবসায় গডফাদারদের অবৈধভাবে অর্জিত ১৭৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ বুধবার সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, সিআইডি এখন পর্যন্ত ৩৫ টি মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে। এরমধ্যে ১০ টি মামলার তদন্তর প্রকৃত গডফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এমনিকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মাদকের অর্থে বাড়ি-গাড়ি, জমি ক্রোক করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত মাদক মামলায় ১২২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি, এরমধ্যে এজাহারনামীয় ৬৭ জন। এসব মামলার গডফাদারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ১০ টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২ টি বাড়ি যার মূল্য ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত ১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২ টি বাড়ি ও একটি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার তদন্তে সাধারণত সেবনকারী বা বাহক পর্যন্ত তদন্ত করেই চার্জশিট দেওয়া হয়। এর পেছনে গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। কিন্তু গডফাদারদের আরও আগে আইনের আওতায় আনতে পারলে মাদকের এতো ব্যপকতা হতোনা। সিআইডি প্রথম গডফাদারদের গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পদ ক্রোকের কাজে হাত দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে আমরা আদালতে উপস্থাপন করি, আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ক্রোকের নির্দেশ দেন। পরে ক্রোক করে আদালতেই জমা দেওয়া হয়।

গডফাদারদের পরিচয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এতোদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। তারা প্রকৃতপক্ষে পেশাগতভাবে মাদক ব্যবসায়ী। তাদের আর কোন পরিচয় নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক সংশ্লিষ্টতায় সাধারণত প্রথমে বাহক বা সেবনকারীকে ধরা হয়। তারপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এর পেছনে কারা আছেন সে পর্যন্ত যেতেন না। সিআইডি ভিন্ন আঙ্গিকে পেছনের ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তারা কোথায় যোগাযোগ করছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহজনক লেনদেন পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করছেন।

যেহেতু গডফাদারদের গায়ে হাত পড়েছে। তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে, তাদের সম্পত্তিও ক্রোক হচ্ছে। তাই আমি মনে করি অন্য গডফাদাররাও নিরুৎসাহিত হবে। আমি বিশ্বাস করি অন্য গডফাদাররা মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিবে।

Exit mobile version