সম্প্রতি ঢাকার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় দেশের স্বাধীনতাকে ‘বাইচান্স’ বলায় দেশের ১১টি পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
তারা বলেন, যে মিথ্যাচার এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য তিনি রেখেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির তেইশ বছরের লড়াই-সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা এবং ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদানকে অবজ্ঞা করে দেয়া গয়েশ্বর রায়ের এ বক্তব্য স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির সাথে ঐক্যেরই বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি। বিবৃতিতে একই অনুষ্ঠানে বিএনপির আরেক নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বাহাত্তরের সংবিধান পরিবর্তন করার যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন, তা এদেশের মানুষ কখনই গ্রহণ করবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বিএনপির এ দুই নেতাকে তাদের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস ও আদর্শকে যারা ভূলুণ্ঠিত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়া সংগঠন গুলো হলো:
১. অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, মহাসচিব, বাংলাদেশ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
২. অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
৩. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
৪. অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন।
৫. এডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেম সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি।
৬. ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতি, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
৭. ফরিদা ইয়াসমিন, সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব।
৮. অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
৯. অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
১০. অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
১১. গোলাম কুদ্দুছ ,সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
বার্তা প্রেরক হলেন মীর মাসরুর জামান রনি, প্রচার সম্পাদক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ।