সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং নীতিমালা আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলা ও আর্থিক সেবায় তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এতে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে শৈশব থেকেই আর্থিক বিষয়ে সচেতন হতে পারবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে অন্যান্য ব্যাংকগুলোকে সেবার পরিধি, ব্যবহার ও গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিউশনফি সহ অন্যান্য ফি সংগ্রহ। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাপনা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট শাখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ফি গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিবর্তন করে অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কার্ডবেজড পেমেন্ট সিস্টেমস এবং স্ট্যান্ডিং ইন্সস্ট্রাকশন্স পদ্ধতির মধ্যে থেকে একাধিক পদ্ধতি চালু করা হবে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি সম্পাদন করবে।
শিক্ষার্থীদের বয়স ছয় থেকে আঠারো বছর হলে ‘স্কুল ব্যাংকিং হিসাব’ এবং ১৮ বছরের বেশি হলে সাধারণ ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে।
অভিভাবকের নামেও ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে। তবে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ হিসাব থেকে সরকারী ফি ছাড়া অন্য কোনো সার্ভিস চার্জ কাটা যাবে না।
শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসহ অন্যান্য সকল প্রকার ফি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানের জন্য ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কার্ডবেজড পেমেন্ট সিস্টেমস ও স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন্স পদ্ধতি চালু করবে।
স্কুল ব্যাংকিং হিসেবে বৃত্তি ও উপবৃত্তি অর্থ প্রদানের বৃত্তি প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সরকারী বা বেসরকারী বা বোর্ডের যে কোনো বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা সংগ্রহ করবে। এরপর তা শিক্ষার্থীর ‘স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে’ জমা দেবে।
যদি শিক্ষার্থীর হিসাব না থাকে তাহলে অভিভাবকের হিসাবেও জমা করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক নূরুন নাহার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে এসব সেবা জেলা শহরে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্দেশ্যে চালু করা হবে। পযার্য়ক্রমে তা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও সম্প্রসারণ করা হবে।