বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে আরো ৬৪টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহবুবুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই অনুমতি দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এই পর্যন্ত মোট ১৪২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এর আগে ৬ জানুয়ারি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন, ৫ জানুয়ারি ১৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সোয়া ২ লাখ টন ও ৩ জানুয়ারি এক লাখ ৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
দফায় দফায় চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে চাল আমদানির শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এরপর এনবিআর আমদানি করা চালের শুল্কহার আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে।
চাল আমদানিতে ইচ্ছুক ব্যবসায়ীদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১০ জানুয়ারি।
তবে চাল আমদানির ক্ষেতে কিছু শর্তে দিয়েছে সরকার। যেমন- বরাদ্দপত্র ইস্যুর ৭ দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা ১ থেকে ৫ হাজার টন আমদানির বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ১ টন থেকে ২০ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছে, তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করার শর্ত দিয়েছে সরকার।