দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৩৯তম দিনে ৮০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৯২৬ জন। গতকাল মৃত্যু সংখ্যা ১১৭ জন ছিল।
সর্বশেষ গত ২৬ জুন করোনায় মৃত্যু একশ’র নিচে নামে। ওই দিন মারা যান ৭৭ জন। দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যু ১০০ ছাড়ায় গত ১৬ এপ্রিল। ওই দিন মারা গিয়েছিলেন ১০১ জন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। এদিন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৩৬ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৫ হাজার ১২৯টি পরীক্ষায় তিন হাজার ৪৩৬ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫ টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৪৭২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৮৬১ জনসহ মোট ১৪ লাখ নয় হাজার ২৩১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৮০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ৩৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৭৮ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ৬৬ জন, বেসরকারিতে ১২ জন) ও বাড়িতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৫ হাজার ৯২৬ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২২ হাজার ৯০ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ২০ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৫৫ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বাসায় ৭৪৮ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮৫৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ০২ শতাংশ এবং নয় হাজার ৬৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৮০ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দু’জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৩ জন, ষাটোর্ধ্ব ২৭ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১৩ জন, আশি উর্ধ্ব তিনজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে নয়জন, বরিশাল বিভাগে চারজন, সিলেট বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দু্’জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৫ লাখ এক হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ কোটি ৩৩ লাখের বেশি।