গাপটিল-মুনরো ঝড়ে নিউজিল্যান্ডের ২৪৩ রানের পাহাড়। সেটি টপকাতে যেয়ে ওয়ার্নার, ডি’আর্চি, ম্যাক্সওয়েল এবং ফিঞ্চের তাণ্ডবে অজিদের ২৪৫! দুই দলের মোট রান ৪৮৮! ট্রান্স-তাসমান টি-টুয়েন্টি ট্রাই সিরিজে শুক্রবার এমন ম্যাচ সাত বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে নিষ্পত্তি হয়েছে। ম্যাচটিতে দুটি বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। এক রানের জন্য হয়নি তৃতীয়টি।
টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে এত রান টপকে জয়ের রেকর্ড নেই। এর আগে ২২৯ রান টপকে জয়ের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের। ২০১৬ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকাকে সেদিন দুই বল হাতে রেখে ২ উইকেটে হারায় ইংলিশরা। ছয়ের দিক থেকেও এই ম্যাচ বিরল। দুই দল মোট ৩২টি ছয় মেরেছে। এক ম্যাচে আগে কখনো এত সংখ্যক ছয় হয়নি।
সর্বাধিক ছয় এবং সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার বিশ্বরেকর্ড হলেও মোট রান তোলার দিক থেকে এই ম্যাচ দ্বিতীয়। ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ভারত ম্যাচে মোট রান উঠেছিল ৪৮৯। উইন্ডিজের করা ২৪৫ রানের জবাব দিতে নেমে এক রানে হেরে যায় ভারত।
নিউজিল্যান্ড এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে। উদ্বোধনীতে মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো যোগ করেন ১৩২ রান। সেটিও মাত্র ১০.৪ ওভারে, মানে ৬৪ বলে!
মুনরোর বিদায়ে ভাঙে জুটি। ৬টি করে চার-ছক্কার ইনিংসটি ৩৩ বলে ৭৬ রানের। ২৩০.৩০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস।
গাপটিল থামেন সেঞ্চুরি তুলেই। ৪৯ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন, তখন ৬ চারের সঙ্গে ছিল ৯ ছক্কার মার। শেষ অবধি ৫৪ বলে ১০৫ রানে থেমেছে গাপটিল ঝড়, ১৯৪.৪৪ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস। বলের হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে এটি নবম দ্রুততম সেঞ্চুরি। দ্রুততমটি ৩৫ বলের, গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেভিড মিলার ঝড় তুলেছিলেন যেদিন।
শেষদিকে রান তোলার তাড়ায় দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারায় কিউইরা। সেইফের্ট ১২, চ্যাপম্যান ১৬, টেলর অপরাজিত ১৭ করে আড়াই ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এনে দেন।
জবাব দিতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ওয়ার্নার এবং ডি’আর্চি শর্ট ৮.৩ ওভারে ১২১ রান তোলেন! তখন ২৪ বলে ৫৯ রান করে ফিরে যান ওয়ার্নার। চার চারটি, ছয় পাঁচটি। ম্যাচসেরা আর্চি ৪৪ বলে ৭৬ করেন। তিন ছয়ের পাশাপাশি আটটি চার হাঁকান তিনি। মিডলঅর্ডারে ম্যাক্সওয়েল ১৪ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান। তার ইনিংসে ছয় দুটি, চার তিনটি। এরপর ফিঞ্চ ১৪ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করেন। তিনি তিনটি করে ছয়, চার মারেন।
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয় পাওয়ায় ইংল্যান্ডের ফাইনাল আশা টিকে থাকল। তিন ম্যাচে এক জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয়। তিনটির সবকটিতে হেরে ইংল্যান্ড তিন নম্বরে।