বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দলের চেয়ারম্যান এক বিজ্ঞপ্তিতে মহাসচিবকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। অপর বিজ্ঞপ্তিতে মহাসচিব জানিয়েছেন চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারের কথা।
মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্বেচ্ছাচারিতা, অনৈতিকতা এবং সংগঠন ও ২০ দলীয় জোটবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে গঠনতন্ত্রের আলোকে মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে চেয়ারম্যানসহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ আদেশ ৫ নভেম্বর-২০১৭ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও রাজনীতিক এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।
এখন থেকে ২০ দলীয় জোট, দলীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের পার্টির নব মনোনীত চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়। পার্টির প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বারও দিয়ে দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পক্ষ থেকে অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বুয়েটের সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ফরিদ উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনোনীত করেছেন চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। লেবার পার্টির গঠনতন্ত্রের ১৭ (গ) ধারা মোতাবেক তিনি এ মনোনায়ন দেন।
দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ মহব্বত সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ নভেম্বর থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। বাংলাদেশ লেবার পার্টির সব নেতাকর্মীকে দলীয় ও জোটগত কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়।
মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ লেবার পার্টি। জিয়াউর রহমানের আমলে লেবার পার্টি ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর মাওলানা আবদুল মতীনের নেতৃত্বে পুনর্জীবন ফিরে পায়। পরে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠিত হলে লেবার পার্টি তাতে অংশগ্রহণ করে।
মাওলানা মতীনের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতৃত্বে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। ২০১২ সালে ১৮ দলীয় জোট (বর্তমানে ২০ দল) গঠিত হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি অন্যতম শরিক হিসেবে জোটের রাজনীতিতে অংশ নেয়।