বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করা ১৪ বাংলাদেশীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের অভিবাসন বিভাগ। মঙ্গলবার মংডু শহরে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও মিয়ানমার অভিবাসন বিভাগের দুই ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক শেষে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত পাওয়া বাংলাদেশীরা হলেন- কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার তাজিয়াকাটার আবদুল রহিম, উখিয়ার পালংখালীর জয়নাল উদ্দিন, একই এলাকার এবাদুল্লাহ, নুর কবির, টেকনাফ সদরে গোদারবিলের নুরুল আমিন, নাজির পাড়ার সৈয়দ আলম, হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার মো. ইউছুপ, বান্দরবান জেলার বাবলু খেয়াং এর ইউ ক্য মং , হাজি গুরামিয়া পাড়ার মো. আমিন, ডুলু পাড়ার মো. ইউনুছ, চট্টগ্রাম বাজালিয়া পাড়ার আবদুর রহিম প্রকাশ বদি, লোহাগাড়ার চরম্বা ওয়াহিদের পাড়া মো. বাদশা মিয়া, মো. জসিম, ঢাকার মকসুদপুরের মো. রাজিব খান।
বিজিবির টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করা ১৪ বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জন মালয়েশিয়াগামী ও বাকি ৩ জন মাছ শিকার জেলে ছিলো। মিয়ানমার কারাগারে আরও ১০০ বাংলাদেশী রয়েছে। তাদেরকেও আনার প্রক্রিয়ার চলছে বলেও জানান তিনি।
৬ বছর সাজা ভোগ করে ফেরত আসা ঢাকা মুকসুদ গ্রামের বাসিন্দা মো.রাজিব খান জানান, ২০০৯ সালে মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিতে গিয়ে ৮৮ মালয়েশিয়া যাত্রীসহ বিকল ট্রলারটি আটক করে মিয়ানমার নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। পরে মিয়ানমার প্রশাসন তাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়। মিয়ানমার কারাগারে আমার মত অনেক বাংলাদেশী বর্তমানে কষ্টে কারাভোগ করছেন।