নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম ম্যাচেই বড়সড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। একদমই সুখকর হয়নি শুরুর অভিজ্ঞতা। ব্যাটে-বলে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে ৮ উইকেটে প্রথম ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে (১-০) স্বাগতিকরা।
ডানেডিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩১ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাটিংয়ে হোঁচটের পর বোলাররাও খানিকটা লড়াইয়ের মানসিকতা দেখাতে পারেননি।
২২ গজে ঝড় তোলা মার্টিন গাপটিলকে আউট করে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ-১৩১/১০ (৪১.৫ ওভার), নিউজিল্যান্ড-১৩২/২ (২১.২ ওভার)
দলীয় ফিফটি পার করে গাপটিল ১৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ক্যাচ দেন। ডানহাতি ওপেনার মারেন চারটি ছক্কা ও তিনটি চার।
আরেক ওপেনার হেনরি নিকোলস সহজেই পাড়ি দিয়েছেন বাকি পথ। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ডেভন কনওয়ে ২৭ রান করে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের শিকার হন। জয় থেকে নিউজিল্যান্ড যখন ১৩ রান দূরে, তখন আউট হন এ ব্যাটসম্যান। উইল ইয়ং ৬ বলে ১১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন।
২১.২ ওভারে দুই উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছায় কিউইরা। এরচেয়েও হতশ্রী চেহারা বাংলাদেশ দল দেখিয়েছিল ১৪ বছর আগে। ২০০৭ সালে কুউন্সটাউনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৯৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টিম টাইগার্স। মাত্র ৬ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে সেই রান টপকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ২৮ বলে অপরাজিত ৮০ রানের ঝড় আজও বাংলাদেশ বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন। গাপটিলকে আজ সময়মতো ফেরানো না গেলে তেমন কিছু হলেও হতে পারত! ২০০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন ওয়ানডে বিশকাপের প্রথম ও একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিয়ান।
ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ২৭ রানের, করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
শততম ওয়ানডে খেলতে নামা স্বাগতিকদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথামকে দারুণ জয় উপহারের দিনে ট্রেন্ট বোল্ট নিয়েছেন চার উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনার।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে। নিউজিল্যান্ড সফরে এই ভেন্যুতেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পার করেছিল বাংলাদেশ।