অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩১১ রানের জবাবে ভালো সূচনা পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনিং জুটিতে ৮৩ রান এলেও দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়তে যাচ্ছিল। তবে জেসন হোল্ডার ও এনক্রুমাহ বোনেরের জুটিতে তারা আপাতত স্বস্তিতেই রয়েছে।
দ্বিতীয় দিনশেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০২ রান। সফরকারীদের চেয়ে তারা এখনো ১০৯ রানে পিছিয়ে আছে। হোল্ডার ১০৪ বলে ৬ চার ও এক চারে ৪৩ ও বোনের ১০৩ বলে ৩ চারে ৩৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন মাঠে নামবেন।
৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা ইংলিশরা স্কোর বড় করতে পারেনি। ৪৩ রান যোগ করেই তারা শেষ ৪ উইকেট হারায়।
জায়ডেন সেলেসের বলে জশুয়া ডা সিলভার গ্লাভসবন্দি হন ৭২ বলে ৩ চারে ২৮ রান করা ক্রিস ওকস। দুই বল পরেই কোনো রান না করেই সেলেসের শিকারে পরিণত হন ক্রেইগ ওভারটন।
এক রান করা মার্ক উড বিদায় নেন আলজারি জোসেফের বলে পয়েন্টে ভীরাস্যামি পারমাউলের ক্যাচে পরিণত হন। শেষ ব্যাটার হিসেবে হন লড়াই চালিয়ে যাওয়া জনি বেয়ারস্টো। প্রথম দিন সেঞ্চুরি তুলে নেয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার জোসেফের বলে হোল্ডারের তালুবন্দি হন। ২৫৯ বল খেলে ৩৮৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ২১ চারে করেন ১৪০ রান।
ক্যারিবীয়দের হয়ে চারটি উইকেট পান জায়ডেন সেলেস। দুটি করে উইকেট পান কেমার রোচ, আলজারি জোসেফ ও জেসন হোল্ডার।
ওপেনিং জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ শুরু এনে দেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েড ও জন ক্যাম্পবেল। ৬৩ বলে ৬ চারে ৩৫ রান করে ক্যাম্পবেল ফিরলে জুটি ভাঙে। ওভারটনের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে বেন ফোকসের গ্লাভসে ধরা পড়েন।
১০১ রানের মাথায় ফিফটি করা ব্র্যাথওয়েড ড্রেসিং রুমে ফেরেন। ৭০ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫৫ রান করে উডের বলে মারতে গিয়ে গালি অঞ্চলে ওভারটনের হাতে ধরা পড়েন।
খানিক পর ৪টি চারের মারে ১৮ রান করা সামারাহ ব্রুকস আউট হন। তিনি বেন স্টোকসের বলে স্লিপে সফরকারী দলের অধিনায়ক জো রুটের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন।
ওকসের বলে ১১ রান করা জারমেইন ব্ল্যাকউড ফিরলে ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। সেই চাপ থেকে দলকে টেনে নিয়ে দিন পার করেন হোল্ডার ও বোনের। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটার ৭৫ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ওকস, ওভারটন, স্টোকস ও উড।