তৌহিদ হৃদয়ের অপরাজিত ৬৫ রান বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে শেষ ম্যাচে এনে দিয়েছে ৫ উইকেটের জয়। তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইনডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনালে উঠে গেছে তারা।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ৪ পয়েন্ট পেয়ে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে ফেলা ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে হারিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দলের শিরোপার লড়াই আগামী শনিবার। তার আগে বৃহস্পতিবার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল সেরে নিল একরকম ট্রফির প্রস্তুতিই।
দক্ষিণাঞ্চলকে ২২১ রানের লক্ষ্য দেয় মধ্যাঞ্চল। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্য সরকারকে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ৭৮ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মারেন তিনটি চার ও এক ছক্কা।
৮ বল হাতে রেখে জয় পায় দক্ষিণাঞ্চল। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান।
ওপেনার পিনাক ঘোষের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬০ রান। বিজয়ের ব্যাটে আসে ২৪ রান।
মিডলঅর্ডারে হৃদয় ছাড়াও রান পেয়েছেন জাকির হাসান। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ৪৯ বলে চার চারে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলেন। হৃদয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮০ রান যোগ করেন।
১৫ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বল ও রানের ব্যবধান কমিয়ে জয়ে ভূমিকা রাখেন নাহিদুল ইসলামও।
১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ নেন দুটি উইকেট। সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী একটি করে উইকেট নেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধীরগতিতে রান তোলে মধ্যাঞ্চল। ৯৫ বল খেলে ৪৬ রান করেন ওপেনার আব্দুল মজিদ।
অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৫৭ বলে ৪৪, তাইবুর রহমান ৩৫ বলে ২৩, আল আমিন ৩৮ বলে ২৫ রান করলেও লড়াকু সংগ্রহের দিকে যেতে পারছিল না দলটি।
শেষটায় আবু হায়দার রনি ব্যাটে ঝড় তুলে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২০ রানের পুঁজি এনে দেন। ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে অপরাজিত থাকেন রনি। মোস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে নেন ২১ রান। মারেন দুটি করে চার ও ছয়। তার ইনিংসে চারের মার ছয়টি আর ছক্কা চারটি।
১০ ওভারে ৬৩ রান খরচ করে মোস্তাফিজ নেন ৪ উইকেট। আবু হায়দার ফিজের শেষ ওভারে তাণ্ডব না চালালে বোলিং ফিগারটি অন্যরকমও হতে পারত! দারুণ বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান। অফস্পিনার ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট।