Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

হুণ্ডির মাধ্যমে ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবের টাকা পরিশোধ

ই-কমার্সসহ ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও তার ৯০ শতাংশেরই রাজস্ব পায় না সরকার। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিগুলো বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে অনুমতি নিয়ে তারা ফেসবুক-গুগলের কাছে টাকা পাঠাচ্ছে। তবে বেসিসের দাবি, অনলাইন মার্কেটিং এর বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে হুণ্ডিতে।

দেশে দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটছে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ও ফেইসবুক ভিত্তিক এফ-কমার্স ব্যবসা। ব্র্যান্ডিং এর জন্য ফেইসবুক-গুগল-ইউটিউবের মতো অনলাইন মাধ্যমগুলো ব্যবহার হচ্ছে। বিপণনের জন্যও ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর একেকটি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে প্রতিমাসে গড়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে। ফেইসবুক ভিত্তিক বাণিজ্যিক সাইটগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে প্রতিদিন খরচ গড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

অনলাইনে যারা পণ্য বিক্রি করেন এবং যারা বেসিসের সদস্য তারা ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন। বড় কোম্পানিগুলো এ লেনদেন করে ডিজিটাল এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।

এ বিষয়ে চ্যানেল আইয়ের কাছে লিখিতভাবে বক্তব্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের বরাবর আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা বিজ্ঞাপনী এজেন্সিকে। আবেদনসমূহ মুদ্রানীতি বিভাগ কেইস টু কেইস ভিত্তিতে বিবেচনা করে অনুমোদন প্রদান করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনপত্রে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী ট্যাক্স, ভ্যাট কর্তন/পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেমিট্যান্স আকারে টাকা পাঠানোর অনুমোদন প্রদান করে।

বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় ট্যাক্স, ভ্যাট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) আওতাভুক্ত বিষয়। বিদেশে বিজ্ঞাপন বিল পরিশোধকালে প্রতি ক্ষেত্রে সরকারকে প্রদেয় ট্যাক্স, ভ্যাট যথাযথভাবে পরিশোধ করা হচ্ছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের।

আগামী বাজেটে এ বিষয়ে উদ্যোগের কথা জানিয়েছে এনবিআর। সংশ্লিষ্টরাও চান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিতে প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরী করা হোক।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:

Exit mobile version