শুক্রবার সকালে দগ্ধ হবার পর থেকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের এইচডিইউতে ভর্তি রয়েছেন তিন সন্তানের জননী সুমাইয়া। তার স্বজনরা জানান, সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বাধা সুমাইয়া প্রথম দুইদিন স্বামী আর তিন সন্তানের খবর জানতে চাচ্ছিলেন। এখন আর সেই শক্তিও নেই। রাতভর শরীরে ক্ষতের জ্বালায় অস্থিরতায় ভুগেছেন। সকাল থেকে চুপচাপ। পানির জন্যও আর অস্থিরতা নেই।
উত্তরায় রান্না ঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ গৃহকত্রী সুমাইয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে। স্বজনেরা বলছেন, ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছেন পানির জন্য অস্থির সুমাইয়া। চিকিৎসকরা জানান, সুমাইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সুমাইয়ার বড় জা ফুরিদা বেগম বলেন, সে এমন ছটফট করছে যে তা বলে বোঝানো যাবে না। সে নিজের মতো করে তার কথা বলছে, কিন্তু আমরা কিছু জিজ্ঞেস করলে বলতে পারছে না।
বিস্ফোরণের দিনই এক ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে সুমাইয়া তার প্রিয় দুই সন্তান সারলিন ও জায়ানকে হারান।
শনিবার ওই দুই সন্তানের মরদেহ যখন বরিশালের নবগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখন বার্ন ইউনিটে মারা যান সুমাইয়ার স্বামী শাহনেওয়াজ। ওই বার্ন ইউনিটেরই মহিলা ওয়ার্ডে তখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন সুমাইয়া।
ঢাকা মেডিকেলের হিমঘর থেকে সকালে শাহনেওয়াজের মরদেহ নেওয়া হয় বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে। এর মধ্যেই সুমাইয়া-শাহনেওয়াজের বেঁচে যাওয়া একমাত্র সন্তান জারিফকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে ড্রেসিংয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বজনেরা বলছেন, পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে বিপর্যস্ত পরিবার। সুমাইয়াকে নিয়েও সবাই আছেন দুশ্চিন্তায়।