রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপকে কুখ্যাত হিটলারের অলিম্পিক আসরের সঙ্গে তুলনা করছে যুক্তরাজ্য।
১৯৩৬ সালের অলিম্পিকে জার্মানির ‘সুপার পাওয়ার’ সত্তাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য নানা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন হিটলার। ১৯৩৩ সালে নাৎসি বাহিনী ক্ষমতায় আসার পর হিটলারের ‘ইহুদি হটাও’ অভিযানের মাঝে অলিম্পিকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়। পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকায় অনেক দেশই জার্মানিতে তাদের দল পাঠাতে বেঁকে বসে। এরপর ১৯৩৪ সালে হিটলার আশ্বাস দেন গেমসে ইহুদি অংশগ্রহণে বাধা নেই। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় গেমস নিয়ে সব ধোঁয়াশা মোটামুটি বিদায় নেয়। যথা সময়েই শুরু হয় ১৯৩৬ সামার অলিম্পিক গেমস।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব বরিস জনসন মনে করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও হিটলারের মতো প্রচারণায় নেমেছেন।
রাশিয়া-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করেছে মূলত সাবেক গুপ্তচরকে কেন্দ্র করে। রাশিয়ার গুপ্তচর কর্নেল সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে (৩৩) বিষ প্রয়োগে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। দুজনই এখন হাসপাতালে। এই ঘটনার জেরে রাশিয়ার কূটনীতিকরা যুক্তরাজ্য ছাড়তে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় ইংল্যান্ড দল এবং তাদের সমর্থকরা রাশিয়া বিশ্বকাপে যাবে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন।
ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে রাশিয়ায় পাঠানো না হলেও ইংল্যান্ড দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সভায় জনসন বলেন, ‘আমি মনে করি ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকের সঙ্গে আসন্ন বিশ্বকাপের তুলনা করা একদম সঠিক। বিশ্বকাপ ঘিরে পুতিন যেভাবে দম্ভ করছেন, সেটা বমি আসার মতো ব্যাপার।’
জনসনের এমন বক্তব্যের জবাবও দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, জনসনের বক্তব্য চরম অপেশাদ্বারিত্বের পরিচয়।