সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল মুক্তি প্রতীক্ষিত একটি চলচ্চিত্রের ট্রেলার! দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ড এর ব্যাপ্তি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও রাজনীতিকরাও তাদের টুইটার, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করছেন ট্রেলারটি!
কী সেই চলচ্চিত্র, যার ট্রেলার ছুঁয়ে গেল সর্ব স্তরের মানুষকে?
যারা এখনো ট্রেলারটি দেখেননি তারা হয়তো বিষয়টি আন্দাজ করতে পারছেন না, কিন্তু যারা দেখেছেন তারা তাদের মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশংসা করছেন নির্মাতার। বিশেষ করে সত্য ইতিহাসকে সঙ্গী করে এতো নিপুণ শৈল্পিকতায় ভিজ্যুয়াল এর আগে চিত্রায়িত হয়নি বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে।
বলা হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল’ চলচ্চিত্রটির কথা, যে ডকু-ড্রামার ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার পর পরই চারদিকে হইচই পড়ে গেছে। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন প্রখ্যাত নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের মাত্র পৌণে তিন মিনিটের ট্রেলার দিয়েই তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। তার ঠিক একদিন আগে ‘হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল’ নামের ডকু-ড্রামার ট্রেলার প্রকাশ হয়।
চ্যানেল আই অনলাইনকে নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু জানালেন, প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানাতেই ট্রেলারটির প্রকাশ।
নির্মাতা জানান, চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
খুব শিগগির চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়ার প্রত্যাশা করছেন অ্যাপলবক্স ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা পিপলু। জানালেন, দীর্ঘ পাঁচ বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফল ৭০ মিনিট ব্যাপ্তির ‘হাসিনা অ্যা ডটার’স টেল’ চলচ্চিত্রটি। খুব শিগগির বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্তমানে চলচ্চিত্রটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে।
কবে নাগাদ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে পারে এমন সম্ভাব্য তারিখের কথা জিজ্ঞেস করা হলে নির্মাতা বলেন, তারিখটি এখনো ঠিক হয়নি। আমাদের কাজ শেষের পথে। পোস্ট প্রোডাকশন শেষ হলেই আমরা মুক্তির তারিখটি নির্দিষ্ট করে ঘোষণা দিতে পারবো। তবে এটুকু বলে রাখি, চলচ্চিত্রটি খুব শিগগির মুক্তি পাচ্ছে।
চলচ্চিত্রে পরিচালক পিপলু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের দুঃখ-বিষাদ, ব্যক্তিগত আখ্যান, আর নৈকট্যের গল্পগুলোকে তুলে ধরেছেন তার নিজস্বতায়। একটি স্বাধীন ও তাৎপর্যময় দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন একজন অনন্য নায়কের জীবনের আরেক অধ্যায়, যা তার একান্ত ব্যক্তিগত হয়েও একটা জনপদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
‘হাসিনা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতা জানান, কখনো তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, কখনো জননী, কখনো বোন, কখনো গণমানুষের ত্রাতা রূপে আবির্ভূত হন যে জননেত্রী তার একটি প্রতিকৃতি এই চলচ্চিত্র।
৭০ মিনিটের ডকু-ড্রামায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা বদলের ইতিহাসও উঠে আসবে জানিয়ে পিপলু বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রবাহকে প্রতিনিধিত্ব করেন শেখ হাসিনা। আর তাই তার উত্থান নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সিনেমাটিতেও প্রতিফলিত হয়েছে এই ধারণাগুলো, যেখানে উঠে এসেছে সেই রাজনৈতিক পালা বদল আর রক্তাক্ত ইতিহাসের কথা, যার পরতে পরতে রয়েছে অশ্রু আর ক্ষরণ।
আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন’-এর প্রযোজনা ও পিপলুর পরিচালনায় চলচ্চিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনায় ছিলেন নবনীতা সেন এবং সংগীতে আছেন ভারতের বিখ্যাত মিউজিশিয়ান দেবজ্যোতি মিশ্র।
নির্মাতার প্রত্যাশা, চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রমোদিদের কাছে অম্লান হয়ে থাকবে।