বড়সড় ধাক্কার পর ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে নিয়ে সুখবর আসা অব্যাহত আছে। তার হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রোপচারের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকেও। বাড়িও পৌঁছে যাবেন দ্রুতই। তার আগে ডেনমার্ক তারকা ঘুরে গেছেন সতীর্থদের অনুশীলন সেশনে।
ইউরোর খেলা গড়ানোর দ্বিতীয় দিনে, দ্বিতীয় ম্যাচের ঘটনা। ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা চলাকালীন মাঠে লুটিয়ে পড়েছিলেন এরিকসেন। তার শারীরিক অবস্থা এতটাই অবনতি হয় যে, চিকিৎসকদের একপর্যায়ে ডেনিশ তারকার বুকে হাত দিয়ে ঠেসে তথা সিপিআর পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা করতে হয়।
মাঠে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর এরিকসেনকে সোজা হাসপাতালে নেয়া হয়। কোপেনহেগেনে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটির প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকের ঘটনা, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ম্যাচের তখন ৪৩ মিনিট, ফিনল্যান্ড বক্সের কাছাকাছি ছিলেন তারকা মিডফিল্ডার।
এরিকসেন মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতীর্থরা, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা ছুটে আসেন। সতীর্থরাই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন দলের ডাক্তাররাও। সেসময় সতীর্থরা তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন।
২৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে ১৫ মিনিটের মতো মাঠেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তারপর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন চারপাশ থেকে কাপড়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে সোজা হাসপাতালে।
পরে খবর আসে এরিকসেনের হৃদযন্ত্রে গোলযোগের। সিপিআর দেয়ার কারণে তার কার্ডিয়াক সমস্যার বিষয়ে শুরুতেই ধারণা দিয়েছিল গণমাধ্যম। পরে ডেনমার্ক তারকার হৃদযন্ত্রে ‘হার্ট স্টার্টার’ বসানো হয়েছে।
সেদিন ঘটনা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ডের দুদলের খেলোয়াড়দের বিরতির সময় সাজঘরে নিয়ে ম্যাচ বন্ধ রাখেন রেফারি। শুরুতে ইউরোপীয় ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার (উয়েফা) এক টুইট বার্তায় ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণার কথা লেখা হয়।
পরে দুদলের খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের সিদ্ধান্তে খেলা মাঠে গড়ায় ফের, প্রায় দুঘণ্টা পর, ডেনিশরা সেদিন হেরে যায়। তবে বেঁচে যান এরিকসেন।