Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

হংকংয়ে আন্দোলনকারীদের পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও

চীনের সঙ্গে বিতর্কিত বন্দী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে হংকংয়ের পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও করে রেখেছে কয়েক হাজার আন্দোনলকারী।আটক হওয়া  আন্দোলনকারীদের মুক্তির দাবিতেই পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও করেছেন বিক্ষুদ্ধরা।

শুক্রবার সকালে থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও করে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের নানা রকম স্লোগান দিতে দেখা যায়।

জরুরি সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ।

বিতর্কিত বন্দী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৭২ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুইজন নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২১ জন পুলিশও আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ৩২ আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে বিতর্কিত বন্দী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোনলকারীরা হংকংয়ের রাস্তার আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রশংসা কুড়ান । প্রায় বিশ লাখ প্রতিবাদকারী সারা রাত ধরে সেই পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীদের পক্ষে সাবেক আইনজীবী ও আন্দোলনকারী লি চেয়াক ইয়ান বলেন, ‘ল্যাম আমাদের কথা না রাখায় আমরা খুব রাগান্বিত। এখন আমাদের কৌশলগত দিক নিয়ে কথা বলার সময়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আবারও রাস্তায় নেমে এসেছে। এ আন্দোলন চলতে থাকবে বলে জানান তিনি।’

আন্দোলনের মুখে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের সঙ্গে বিতর্কিত বন্দী প্রত্যর্পণ বিল স্থগিতের ঘোষণা দেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম।

এর আগে গত সপ্তাহে ব্যাপক বিক্ষোভের পরও ল্যাম বিলটি বাতিলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের দাবি একটাই, ক্যারি ল্যামকে অবশ্যই অফিস ত্যাগ করতে হবে।বিতর্কিত বন্দী প্রত্যর্পণ বিল বাতিল করতে হবে। সহিংস আক্রমণের জন্য পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সপ্তাহব্যাপী ওই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৭২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসে তারা আহত হন।

হংকংয়ের পার্লামেন্টে চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত ল্যাম ও তার দলীয় আইনপ্রণেতারা বন্দী প্রত্যর্পণ আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রস্তাবিত বিলটিতে পলাতক অপরাধীদের বিচারের জন্য চীনে প্রত্যাবাসনের বিধান রাখা হয়েছিল।

প্রস্তাবিত এই বিল নিয়ে আলোচনা শুরুর পর থেকেই শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন প্রশাসন। ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে ফেরত দিয়েছিল ব্রিটেন৷

Exit mobile version