Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল কি মৃত্যুযানে পরিণত হচ্ছে?

গত জুন মাসে দেশে ৩২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৮ জন মানুষ এবং আহত ৪২৩ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩.৪২ শতাংশ। আর ১৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫১ জন, যা মোট নিহতের ৩৭.৯৩ শতাংশ।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। শুধুমাত্র একমাসের এই পরিসংখ্যানের বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে, আর এতে যেভাবে তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, তা নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে ক্রমেই ক্ষোভ এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। কোনোভাবেই যেন এ দুর্ঘটনার লাগাম টানা যাচ্ছে না। নানা আলোচিত ঘটনার পরে দেশের সড়কে কড়াকড়ি ও নতুন নতুন আইন এলেও খুব একটা পরিবর্তন যে হচ্ছে না, তা প্রতি মাসে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা দেখের বোঝা যাচ্ছে। অদক্ষ চালক, সড়কের বেহাল অবস্থা, সড়কে বেপরোয়া যান চালানো, ওভারটেক করাসহ নানা কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়ে থাকেন বিভিন্ন সময়ে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত ৫২২টি যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ১৪২টি। দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের হিসাবে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩টি। এর মধ্যে ২০২০ সালেই ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন হয়েছে। ২০১০ সালে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৪টি। মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। মোটরসাইকেল যেন মৃত্যুযানে পরিণত হয়েছে!

হেলমেট পরিধান করা, ২ জনের বেশি মোটরসাইকেলে না ওঠাসহ নানা নিয়ম থাকলেও সড়ক-মহাসড়কে অহরহ নিয়ম ভঙ্গ করে চলছে মোটরসাইকেল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা তৎপরতা থাকলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আর দুর্ঘটনার শিকার হওয়া মোটরসাইকেল চালকদের অধিকাংশই তরুণ। সড়ক নিরাপত্তায় কাজ করা বিশেষজ্ঞ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনগণসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া খুবই জরুরি।

Exit mobile version