সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সবুজ সংকেত দিয়েছে, তাই বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাবে। সরকার পাকিস্তানকে নিরাপদ রাষ্ট্র মনে করছে বলেই সালমা-শুকতারাদের পাকিস্তান পাঠানোর পক্ষেই মত দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদেরকে পাকিস্তান পাঠানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাসের ২৭ তারিখেই বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাবে এবং সেখানে দুইটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলার সূচি রয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরে পাঠানোর যুক্তি দিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই কেবল নারী ক্রিকেটারদের সে দেশ সফরের অনুমতি দেয়া হয়েছে’।
পাকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো না সেটা প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেই বলেছেন- ‘আমরা জানি যে পাকিস্তানের সামগ্রিক অবস্থা ভালো না। কিন্তু তারা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে যে ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে’।
অদ্ভুত যুক্তি! পাকিস্তান নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে বলেই পাকিস্তানে দল পাঠানো হচ্ছে। এর আগে যে সব দল পাকিস্তানে গেছে তাদের নিরাপত্তারও নিশ্চয়তা দিয়েছিল দেশটি, কিন্তু দিতে পেরেছে কি সে নিরাপত্তা? ঘোষণা দিয়ে বাইরের কাউকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দিতে হয় না কাউকে, কিন্তু পাকিস্তানের জন্যে সেটা করতে হয় কারণ বিশ্ববাসীর কাছে দেশটা এক আতঙ্কের নাম। ঘোষণা না দিলেও অতিথিদের জন্যে, এমনকি দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া যে কোনো সরকারের, রাষ্ট্রের জন্যে বাধ্যবাধকতা। পাকিস্তান কি সেটা পারছে? পারছে না, ফলে নিয়মিতভাবে সেখানে সন্ত্রাস হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে আর সেখানকার সরকারকে দর্শক হয়ে থাকতে হচ্ছে।
পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ দীর্ঘদিন থেকে। সেখানে ক্রিকেটারদের উপর হামলার ব্যাপারটি প্রথম ঘটে ২০০২ সালে যখন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট টিম যে হোটেলে অবস্থান করছিল সেই হোটেলেই সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা চালায়। ক্রিকেটাররা বেঁচে গেলেও মারা যান ১১ জন লোক।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ঘটে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমের ওপর আক্রমণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। আহত হন উপুল থারাঙ্গাসহ ছয় খেলোয়াড়। সে হামলায় পুলিশসহ সাতজন নিহত হয়।
এর দীর্ঘ ছয় বছর পর এ বছর জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান সফর করে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছিল। কিন্তু সরকারের সে নিরাপত্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাসীরা ঠিকই আক্রমণ করে স্টেডিয়াম এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষ সে ঘটনাকে আড়াল করতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কথা বললেও এক দিন বাদেই বিশ্ববাসী জানতে পারে সেটা ছিল সন্ত্রাসী হামলা, এবং সে হামলার লক্ষ্য ছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।
বিশ্বক্রিকেটের প্রভাবহীন ক্রিকেট রাষ্ট্র এবং গরীব ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতা ছিল না সিরিজের মাঝপথে ফিরে যাওয়ার। তারা পিসিবি’র খরচে পাকিস্তান খেলতে গিয়েছিল বলে সফরের মাঝপথে ফিরে গেলে ‘ক্ষতিপূরণ’ দিতে হতো বলে প্রাণনাশের শঙ্কা তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল আর্থিক দীনতায়। সে সিরিজ শেষ হয়েছিল সূচি মোতাবেক।
এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীরা ঠিকই তাদের হামলা সম্পাদন করেছিল। হামলা লক্ষ্যচ্যুত হলেও বিদেশি ক্রিকেট দলের প্রতি ঘামলার বিষয়টি তারা রুটিন মোতাবেক সম্পন্নই করেছিল। পাকিস্তান সরকার জিম্বাবুয়ের জন্যেও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিল, জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়েরা প্রাণ নিয়ে দেশে ফেরত যেতে পেরেছেন কিন্তু সরকার তার আশ্বাসের মূল্য রাখতে পারে নি। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল যে এলাকা সে এলাকাতেই সন্ত্রাসীরা হামলা করে প্রমাণ করেছে তাদের শক্তিমত্ত্বা, একই সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর দুর্বলতা।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে লক্ষ্য করে হামলা সাম্প্রতিক উদাহরণ, তারচেয়েও সাম্প্রতিক উদাহরণ তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামকে লক্ষ্য করে গুলি। আকরাম প্রাণে বেঁচে গেছেন সে হামলার পরেও কিন্তু এ গুলি ছোঁড়ার ঘটনা প্রমাণ করে তারা কতখানি অনিরাপদ।
জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের কাছে পাকিস্তান রাষ্ট্র পরাস্ত হয়েছে অনেক আগেই। সন্ত্রাসী বোমা হামলা সেখানকার নিত্যকার ঘটনা। ধর্মালয়, বাজার, স্কুল, রাস্তাঘাট, পুলিশ ফাঁড়ি, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকা সব জায়গায়ই সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে সন্ত্রাস চালাতে পারে। পাকিস্তান রাষ্ট্র সে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাড়াতে যে ব্যর্থ সেটা প্রমাণিত।
পাকিস্তানের নিত্যকার সন্ত্রাসচিত্রের একটা উল্লেখযোগ্য শিকার সেখানকার নারীরা। নারীদের লক্ষ্য করে অসংখ্যবার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। বাচ্চাদের স্কুলে হামলা হয়েছে, মেয়ে শিশু কেন স্কুলে যাবে সে জন্যেও হামলা হয়েছে। ফলে ধারণা করা যায়, কেবল পাকিস্তানের নাগরিকই; নারীরাও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য।
পাকিস্তানে যেখানে তাদের দেশিয়রা নিরাপদ নয় সেখানে বাংলাদেশের মেয়েরা কিভাবে নিরাপদ থাকবে? কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের জন্মবিরোধিতা। এ বিরোধিতার বয়স ৪৪ বছর হলেও তারা সে ক্ষত এখনও পুষে বেড়াচ্ছে। এখনও বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হলে সর্বপ্রথম প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান। সংসদে দাঁড়িয়ে তাদের মন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রতি বিষোদগার করে থাকে। সংসদে সে সব বক্তব্যের রেকর্ড থেকে না মুছে তারা সংরক্ষণও করে। ফলে বিরোধিতার জায়গা এখানে স্পষ্ট।
তার উপর ধর্মীয় উগ্রতা আর পশ্চাদমূখিতার রাষ্ট্র পাকিস্তান নারীদের ঘরে বন্দি রাখতে মরিয়া। নারীরা মাঠে ক্রিকেট খেলবে- এটা তারা কীভাবে মেনে নেবে? নারীরা ক্রিকেট খেলবে- এটা তাদের ধারণাপ্রসূত ধর্মের সরাসরি বিরোধিতা। সে ক্ষেত্রে ঝুঁকির জায়গাটা আরও স্পষ্ট!
শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দল না পাঠালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ছাড়পত্র দেবে না এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে পিসিবি। ধারণা করি এটা মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে না পাঠালে তারা তাদের খেলোয়াড়দের বিপিএল-এ পাঠাবে না এমন হুমকির কথা শোনা গিয়েছিল এবং দেশব্যাপী তুমুল প্রতিবাদের জন্যে বিসিবি পাকিস্তানে দল না পাঠালে পাকিস্তানিদের কেউ বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে খেলতে আসেনি।
বিপিএলের প্রথম আসরে পাকিস্তানিরা খেলেছিল এবং এরপর ম্যাচ গড়াপেটায় তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় আসরে তারা খেলেনি তাদের দেশে বাংলাদেশ খেলতে যায়নি বলে। তৃতীয় আসর যখন শুরু হবে তখন আবারও তারা শর্তারোপ করেছে মহিলা ক্রিকেট দল না পাঠালে তাদের কেউ খেলতে আসবে না। এটা কন্ডিশনাল ব্ল্যাকমেইলিং, আর বিসিবি’র এতে বিভ্রান্ত হয়েছে বলা যায়।
এর আগে সাকিব-মুশফিকদের পাঠানো হয়নি কারণ দেশব্যাপী প্রতিবাদ আর আন্দোলনের মুখে বিসিবি অনুধাবণ করতে পেরেছিল জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের জীবনমূল্য। কিন্তু এখন সে বোধটুকু কেন নাই সেটা বিরাট এক প্রশ্ন। এমন না যে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চলছে সমানে, সেক্ষেত্রে দল পাঠানো একপ্রকার কার্টেসি অথবা বাধ্যবাধকতার পর্যায়ে! তাহলে কেন পাঠাবে দল?
প্রশ্ন জাগে, তবে কি বিসিবি কিংবা সরকার সাকিব-মুশফিকদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও সালমাদের সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না? সাকিব-মুশফিকদের হাতে যদি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার পতাকা থাকে সালমা-শুকতারাদের হাতেও একই পতাকা থাকবে। জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়ার সময়ে বিসিবি এবং সরকার কি সালমাদের মানুষ হিসেবে না দেখে স্রেফ নারী হিসেবেই গুরুত্বহীন হিসেবেই দেখছে কেবল?
অদ্ভুত রাষ্ট্র পাকিস্তান জানাচ্ছে, স্টেডিয়াম প্রয়োজনে দর্শকশূন্য রেখে সেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে খেলা চালানো হবে। এ থেকেই প্রমাণ হয় তারা প্রস্তাবিত নিরাপত্তা নিয়ে নিজেরাই শতভাগ নির্ভার না। তাদের দেশের জনগণের কথা বাদই দিলাম, সরকারের মন্ত্রী, বিদেশি কূটনীতিকদের জীবনের নিরাপত্তা যেখানে দিতে পারে না সেখানে পুরো এক ক্রিকেট দলকে কীভাবে দেবে?
কয়েক দিন আগে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার সনাথ জয়াসুরিয়া পাকিস্তান সফর শেষে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে বেশ প্রশংসা করেছিলেন। জয়াসুরিয়ার সে বক্তব্যগুলো ছিল যে কোনো পাকিস্তানিদের কথাগুলোর অনুরূপ। তিনি একজন ব্যক্তি হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন এবং একজন ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেওয়া যতখানি সহজ ঠিক তার কয়েকগুণ বেশি কঠিন পুরো একটা টিমকে নিরাপত্তা দেওয়া। বাংলাদেশ সরকার যদি মহিলা ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠাতে জয়াসুরিয়াদের মত করে ভাবে তাহলে হয়ত ভুল করবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, জয়াসুরিয়ার সে বক্তব্যের পরেও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানে দল পাঠাতে আগের অবস্থানেই আছে বলে ধারণা করি, কারণ তাদের সফর বিনিময়ের কোনো বক্তব্য এখনও কোনো ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আলোচনা হয়নি।
ক্রিকেটকে সরলীকরণ করলে সবাই বুঝে পুরুষ ক্রিকেট দলকে। শক্তি-সামর্থ-আবেদন এবং প্রচার সবকিছু মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী তারাই আলোচিত হয়। সেখানে ব্যবসায়িক ধারণার সংশ্লেষ আছে, কিন্তু সরকার যখন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় তখন তাদের এসব বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে না দেখে নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সরকারের কাছে সাকিব-মুশফিকেরা যেমন দেশের নাগরিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে সালমা-শুকতারাও। পুরুষ দল, কিংবা মহিলা দল যারা বিদেশে খেলতে যাবে তাদের সবাই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে, পতাকাকে প্রতিনিধিত্ব করবে। দেশ আর পতাকায় যদি পুরুষ-নারী ভেদ না থাকে তাহলে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া কেন থাকবে?
লিঙ্গ হিসেবে সালমারা নারী, সাকিবেরা পুরুষ। এটা প্রাকৃতিক। রাষ্ট্রের প্রকৃতি কিংবা লিঙ্গ দেখার সুযোগ কম। রাষ্ট্র পরিচয়স্মারক হিসেবে নারী-পুরুষ-তৃতীয় লিঙ্গ সকলকে দেখবে তার নাগরিক ও মানুষ হিসেবে। সালমাদের পাকিস্তান সফরে পাঠানোর সবুজ সংকেত দিয়ে সরকার যা করল সেটা স্রেফ এক সরলীকরণ প্রক্রিয়া। স্বভাবতই এটা ভুল হিসেবে মনে করছি।
যুক্তি, আবেগ আর বাস্তবতা বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, পাকিস্তানে দল পাঠানো ঠিক হবে না। সরকারের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় এগুলো আলোচিত না হয়ে হয়ত ‘কূটনৈতিক সৌজন্য’ গুরুত্ব পেয়েছিল। তাই কূটনৈতিক সৌজন্য দেখাতে গিয়ে দেশের মহিলা ক্রিকেট দলকে মৃত্যুপুরী পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছি।
দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছে, শাসক হিসেবে সরকারের কাছে আমরা যেমন নিজেদের নিরাপত্তা চাই, ঠিক একইভাবে অপ্রকাশ্যে চাওয়া হয় দেশে ও দেশের বাহিরে মৃত্যুমুখে ফেলে না দিতে। মহিলা ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত তাদেরকে মৃত্যুমুখে ফেলে দেওয়ার শামিল।
সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, মহিলা ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন!