Advertisements
লন্ডনে সৌদি কূটনৈতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে গৃহকর্মীকে ঘণ্টায় মাত্র ৬৩ পয়সা মজুরি দিতেন এবং কাজ করতে হয়েছে কোনো ধরনের বিরতি ও বিশ্রামহীন দিনে ১৬ ঘণ্টার বেশি।
এর বিনিময়ে তাকে চব্বিশ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থানে থাকতে হতো এবং ওই কূটনৈতিকের পরিবারের সদস্যদের উচ্ছ্বিষ্ট খাবার খেয়ে তাকে কাজ করতে হতো।
জে ডাব্লিউ নামে ফিলিপাইনি ওই নারী কর্মী দাবি করেন, কূটনৈতিক খালিদ বসফারের পরিবারের উচ্ছিষ্ট খাবার খেতে তিনি বাধ্য হতেন। এমনকি তাকে যেন ২৪ ঘণ্টা পাওয়া যায় তার জন্য তাকে কঠোর সতর্ক থাকতে হতো, যা গলার চারপাশে শিকল পরার মতো অবস্থা।
অভিযুক্তের বরাত দিয়ে সেন্ট্রাল লন্ডনের এমপ্লয়মেন্ট ট্রুাইব্যুনালে একটি প্রাথমিক শুনানিতে বলা হয়, তাকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১.৩০টা পযন্ত বিশ্রাম ও বিরতিহীন কাজ করতে হতো।
এভাবে ছয় মাস ধরে কাজ করার জন্য তাকে মাত্র ৯ হাজার রিয়াল (১,৯০৬ পাউন্ড) অর্থ প্রদান করা হয়েছিলো, যার মানে তিনি ঘণ্টায় মাত্র ৬৩ পয়সায় কাজ করতেন।
জেডাব্লিউ জানান, বসফারের পরিবার দ্বারা তাকে নিয়মিত কথ্য নিযাতিত হতে হতো। তিনি অনেক চেষ্টা করেও কূটনীতিকের বাড়ি ত্যাগ করতে পারতেন না এবং তার মজুরিও বন্ধ ছিলো দীর্ঘদিন।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মি. বসফারের ফোন ব্যবহার করে তিনি মাত্র বছরে দুবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পেতেন।
কিন্তু এই অভিযোগ থেকে ওই কূটনৈতিক খালাস পেয়েছিলেন তার কূটনৈতিক পরিচিতির জন্য।
লন্ডনের শুনানিতে বলা হয়, মি. বাসফার সৌদি আরবের কূটনৈতিক কর্মীদের সদস্য। তার বাসভবনে ২০১৫ সাল থেকে গৃহকর্মী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন জেডাব্লিউ নামের ওই ফিলিপাইনি নারী।
ওই বছরের আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের ভিসা দিয়ে কূটনৈতিক বাসভবনে তাকে আনা হয়। ভিসা নেয়ার সময় খালিদ বসফারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছিলো যে, জেডাব্লিউ প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা কাজ করবেন। সপ্তাহে একদিন এবং বছরে এক মাস ছুটি পাবেন। তার বিনিময়ে ওই গৃহকর্মী পাবেন থাকা, খাওয়া এবং বাৎসরিক ন্যুনতম মজুরি।
কিন্তু যুক্তরাজ্যে আসার পর জেডাব্লিউ প্রায় একছর পযন্ত কোনো বেতনই পাননি- ইন্ডিপেন্ডেন্ট সংবাদ।