এই বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ছন্দে ফিরেছে সরফরাজ আহমেদের দল। তবে পাকিস্তানকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। চার ম্যাচ পর দলে ফিরে ৫৯ বলে ৮৯ রান করেন। পাকিস্তান ৩০০ রানের কোঠা পার করে তার জন্যই। ম্যাচে ৪৯ রানে জয় পায় পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের পরেই পাকিস্তান প্রথম একাদশ থেকে ছেঁটে ফেলে সোহেলকে। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র ৮ রান করেছিলেন তিনি। বারবার ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও শোয়েব মালিকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে দলে রেখে দেয়া হয়। ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর ঘরে-বাইরে সমালোচনা আরও তীব্র হওয়ায় অবশেষে টনক নড়ে সরফরাজদের।
সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কার্যত ডু-অর-ডাউ ম্যাচে শোয়েবের পরিবর্তে মাঠে নামার সুযোগ দেয়া হয় সোহেলকে। ঐতিহ্যর লর্ডসে দুর্দান্ত কামব্যাক ইনিংসে পাকিস্তানকে তিনশোর গণ্ডি পার করান।
ম্যাচের পর সরফরাজ বলেছেন, ‘হারিস সোহেল একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আজ তার ব্যাটিং দেখে হয়েছে, তিনি খেলতে ক্ষুধার্ত। তিনিই আসলে ব্যাটিংয়ের মূল ফ্যাক্টর ছিলেন, ম্যাচের বাঁক বিন্দুও হারিস। শেষ ১৫ ওভারে যেভাবে ব্যাটিং করেছিলেন, সেটা ঠিক জস বাটলারের মতো ছিল।
বাকিদের প্রশংসা করে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘টিমগেমের জন্য জয়। ওপেনাররা ভালো শুরু দিয়েছিলেন। হারিস তো ভালোই করেছে। আমির শুরুতেই ধাক্কাটা দিয়েছিল। বাকি কাজটা শাদাব আর ওয়াহাব করেছে।’
এদিকে, ভারতের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান দল। তবে কোচ মিকি আর্থার বলছেন, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জয়ে সেই সমালোচকদের মুখ অল্প সময়ের জন্য হলেও বন্ধ করে দেবে।
আর্থারের ভাষায়, আমি মনে করি, গত এক সপ্তাহে তাদের (খেলোয়াড়) পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। গণমাধ্যম, জনসাধারণ, সামাজিক প্রচার মাধ্যমের লোকেরা অবিশ্বাস্যভাবে আঘাত হেনেছিল … এবং আশা করি, আজ তাদের জন্য যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে, যা কিছু লোককে শুধু কিছু সময়ের জন্য মুখবন্ধ করে দিতে পারে।’
পাকিস্তানের এই জয়কে সাদাব খান সেই সমস্ত সমর্থকদের উৎসর্গ করেছেন, যে সমস্ত সমর্থক দলের দুর্দিনেও পাশে থেকেছে। পাকিস্তানের পরের ম্যাচ আগামী বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।