Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

সৈয়দ মুজতবা আলীর গল্পে নিশো

শিক্ষিত-সুদর্শন যুবক আফরান নিশো। তার কোনো বদঅভ্যাস না থাকলেও সমস্যা একটা আছে! সেটা হচ্ছে, সারাবছর সর্দি-কাশি লেগে থাকে। গরমের প্রচণ্ড উত্তাপেও নিশো’কে ঠাণ্ডা ভর করে। আর শীত এলে তো কোনো কথাই নেই! এই সমস্যার কারণে কোনো মেয়েই নিশোকে পছন্দ করেনা।

যার জন্য কারও সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করতে পারেন না নিশো। একদিন বৃষ্টিতে কোনো কারণে ভেজেন নিশো। এতে করে তার দীর্ঘদিনের এই অসুখ ভালো হয়ে যায়।

এরপর ফারহানা মিলিকে দেখে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেন নিশো। তিনি জানতে পারেন, মিলির মাইগ্রেনের পেইন (মাথা ব্যথা) আছে। সে বিয়ে করবেন তার মতো কাউকে। মিলির চাওয়া পূরণ করতে নিশো সুস্থ হওয়ার পর আবার সর্দি-কাশির রোগীর মতো অভিনয় করতে থাকেন। এভাবে নিশো তার স্ত্রী মিলির সঙ্গে অভিনয় করেন পাঁচ বছর।

এমন গল্পে নির্মিত হচ্ছে নাটক ‘বৃষ্টি ভেজার দিন’। তারপর কী হবে?

এরপরের ঘটনা ভিন্ন। বাকিটা বলতে চাইলেন না নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন। তার ভাষ্য, ‘পরেরটুকু আরও জমজামট। বাকিটা জানতে হলে নাটকটি দেখতে হবে। ‘বৃষ্টি ভেজার দিন’ নাটকটি নির্মিত হচ্ছে সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘ভালো থেকো সর্দি কাশি’র ছায়া অবমল্বনে।’

নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমি সাহিত্য নির্ভর গল্প নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। মনে করি দর্শকরা এসব গল্পের কাজ খুব পছন্দ করেন। আমার পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই বললাম। এর আগে কবি আল মাহমুদ, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সৈয়দ শামসুল হক, শওকত আলী’র মতো লেখকদের গল্পের ছায়া নিয়ে কাজ করেছি। সবগুলোই দর্শকদের পছন্দ হয়েছে।’

গেল ঈদে ‘কলুর বদল’ নাটক দিয়ে তুমুল পরিচিতি পাওয়া এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘চারপাশে কমেডির নামে ভাঁড়ামো গল্পের ছড়াছড়ি। গঁদবাঁধা প্রেমের নাটক দর্শক দেখছে বারবার! নির্মাতার বাইরে একজন দর্শক হিসেবে সেসব কাজ দেখে আমি নিজেও বিরক্ত। আমি বিশ্বাস করি পরিছন্ন গল্প আর সাহিত্যের মিশেল থাকলে সেই কাজটি দর্শকরা অবশ্যই পছন্দ করবেন। ‘বৃষ্টি ভেজার দিন’ তেমনই একটি কাজ।’

আফরান নিশো এবং ফারহানা মিলি ছাড়াও নাটকে অভিনয় করেছেন মিলি বাশার, নিলুক কুমার প্রমুখ। নাটকটির শুটিং শেষ হচ্ছে আজ (শুক্রবার)। আগামী ঈদুল আহজায় ‘বৃষ্টি ভেজার দিন’ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন।

Exit mobile version