সেনাবাহিনীর হুমকি উপেক্ষা করে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনতা। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ সোমবার আরও তীব্র রূপ লাভ করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে কর্মচারীরা সর্বাত্মক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের সড়কে অবস্থান নিয়ে জান্তা শাসনের অবসান ও গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে বিক্ষুব্ধরা।
বিবিসি জানায়, চলমান বিক্ষোভের মধ্যে গতকাল ছিলো সহিংসতাপূর্ণ। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে দু’জন প্রতিবাদকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়েছে আন্দোলনকারীরা। এতে রাস্তায় নেমে আসে অভ্যুত্থান বিরোধিরা।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে সেনাবাহিনী এক বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরে যেতে বলেছে। অন্যথায় মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা দেশের কোমলমতি কিশোর-কিশোরীদের আন্দোলনে প্ররোচিত করছে। এতে তারা প্রাণহানির শিকার হবে।
সেনাদের ভাষায়-‘দাঙ্গা ও নৈরাজ্য’ থেকে আন্দোলনকারীদের সরে আসতে হবে।
হুমকি উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধরা বলছেন, তারা জান্তা শাসনের পতন চান এবং গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান। ‘আমরা নিজেরাই আমাদের ভবিষ্যত তৈরি করতে চাই’-বলছেন বিক্ষুব্ধরা।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।