টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে সেতু কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিজ করা ভবনের বাসিন্দাদের বিনা নোটিশে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে।
আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবীর নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সে সময় চারটি ভবন ও বিশটি দোকানের ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
ভাড়াটিয়ারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই বাসায় ভাড়া থাকতাম। হঠাৎ করেই গতকাল রাতে ভবন খালির জন্য মাইকিং করা হলেও কোন নোটিশ দেয়নি। বিকল্প কোন থাকার ব্যবস্থা এখনও হয়নি। পরিবারের লোকজন নিয়ে কোথায় থাকবো সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।
ভবন খালির জন্য কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এমন উচ্ছেদে আমাদের রাস্তায় থাকা ছাড়া কোন জায়গা নেই। সময় না দিয়ে এভাবে উচ্ছেদের ফলে শিশু সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।
ছয় বছর আগে পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকা সেতুর রেস্ট হাউজটি দশ বছরের জন্য বাৎসরিক ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ভাড়ায় ইজারারা পায় মেসার্স রাবিতা এন্টারপ্রাইজ।
এরপর তাতে মেরামত করে আবাসিক ও দোকান ভাড়া দেয় তারা। প্রথম দিকে ভাড়া পরিশোধ করলেও পরে ২০ লাখ টাকা ভাড়া বকেয়া পড়লে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
পরে ভাড়ার টাকা জমা দিতে না গ্রহণ করে ইজারা বাতিলসহ এর জামানত বাজেয়াপ্রাপ্ত করে কর্তৃপক্ষ। ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
রাবিতা এন্টারপ্রাইজের লেলিন খান বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষকে বারবার বাৎসরিক ইজারার টাকা দিতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ নেয়নি। পরে কোন কারণ ছাড়াই সময় না দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করছে। এরআগে জজ কোর্টে স্থিতাবস্থার আদেশও রয়েছে আমাদের কাছে।
আদালতের স্থিতিবস্থার আদেশ থাকলেও তড়িঘড়ি সেতু কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবী বলেন, উচ্ছেদের বিষয়টি পুরোটাই সেতু কর্তৃপক্ষ করছে। আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেই দিকটা দেখভাল করছি।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কতৃপক্ষ (বিবিএ) যুগ্ম সচিব (পরিচালক প্রশাসন) মো. রেজাউল হায়দার কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।