মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি দেশটির মন্ত্রিসভায় যোগদানের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এর ফলে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রী
মিয়ানমারের প্রশাসনে একটি আনুষ্ঠানিক পদ পেতে যাচ্ছেন। তবে সু চি ছাড়া ১৮ জনের মন্ত্রিসভায় আর কোনো নারী সদস্য নেই।
নির্বাচনে বিপুল জয় পেলেও মিয়ামারের সংবিধান অনুযায়ী তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
পার্লামেন্টের স্পিকার মান উইন খাইং থান মন্ত্রিসভা সদস্যদের তালিকা পাঠ করেন। সু চি’র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এই তালিকাটি প্রণয়ন করে। তবে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রী মন্ত্রণালয়ের কোন দফতর পেতে যাচ্ছেন তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অং সান সু চি’কে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে। শুধু তা-ই নয় তার নাম রাখা হয়েছে চারটি মন্ত্রণালয়ে। এগুলো হলো প্রেসিডেন্টস অফিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে তার দল ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পায়। কিন্তু স্বামী ও সন্তান বিদেশী নাগরিক হওয়ায় তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। যে কারণে নির্বাচনের আগে থেকেই সু চি বলে আসছেন, সংবিধানে তাকে প্রেসিডেন্ট হতে বাধা থাকলেও তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থাকবেন।