বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার অনিশ্চিত করে দিয়েছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য। ওই ম্যাচে সিনিয়র তিন ক্রিকেটারের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সব জায়গায় থেকেই খেলোয়াড়দের দিকে আসছিল সমালোচনার তীর। শঙ্কা উড়িয়ে পরের দুম্যাচ জিতে টাইগাররা ঠিকই কেটেছে সুপার টুয়েলভের টিকেট।
প্রাথমিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরে তৃপ্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ক্ষুধা বেড়েছে আরব আমিরাতে মূলপর্বে ভালো করার। একইসঙ্গে অভিমানীও তিনি। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে আবেগী হয়ে পড়েন অধিনায়ক।
‘সমালোচনা আমাদের স্পর্শ করে, আমরাও মানুষ। আমাদের পরিবার আছে। আমাদের বাবা-মা রাও বসে থাকেন টিভির সামনে। আমাদের বাচ্চারাও খেলা দেখে। তারাও মন খারাপ করে।’
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো এখন মানুষের হাতের নাগালে। সবার মোবাইলে আছে। সমালোচনা তো হবেই। আমরাও আশা করি সমালোচনা হোক। আমরা খারাপ খেলেছি সমালোচনা হবেই। কিন্তু সমালোচনার মাধ্যমে কেউ কাউকে ছোট করে ফেলে সেটা কিন্তু খারাপ লাগে।’
‘অনেক প্রশ্ন এসেছে। আমাদের ব্যাটিংয়ের স্ট্রাইক রেট। আমাদের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট নিয়ে। আমরা তো চেষ্টা করেছি। চেষ্টার বাইরে আমাদের কাছে কিছু নেই। এরকম না যে আমরা চেষ্টা করিনি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ফল আমাদের পক্ষে আনতে পারিনি।’
‘সমালোচনা হবেই। এটা কাম্য। কিন্তু সুস্থ সমালোচনা হলে সবার জন্য ভালো। আমরাও অনুভব করি। বাংলাদেশের জার্সিটা যখন আমরা গায়ে দেই, তখন আমাদেরও সম্মান অনুভব হয়। আমরা দেশের জন্য কতটুকু করি।’
প্রথম ম্যাচ হারের পর তিন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম, এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপনও মিডিয়ার সামনে কড়া সমালোচনা করেছেন ক্রিকেটারদের।