‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে, এ প্রেক্ষাপটে দেশের একজন সত্যিকার সুপারস্টারের প্রতি ছবিতে পারিশ্রমিক হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা।’-এমন মন্তব্য করলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার।
এ সময় এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শাসমুল আলম, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি পদে কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে আলিমুল্লাহ খোকন, কোষাধ্যক্ষ পদে মেহেদী হাসান সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইলা জাহান। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, উপ-মহাসচিব শাহীন সুমন, সাংগঠনিক সচিব কবিরুল ইসলাম রানা (অপূর্ব রানা) প্রমুখ।
চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যয় কমাতে কঠোর হয়েছে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। সংগঠনটির সঙ্গে পরিচালক সমিতি ও এফডিসির অন্যান্য সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করে।
চলচ্চিত্র নির্মাণ ব্য়য় কমানোর প্রক্রিয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ‘কাস্টিং রিমুনারেশন’ নিয়ে কথা বলেন গুলজার। তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা আমাদের চলচ্চিত্রের, সেদিক লক্ষ্য করলে একজন সত্যিকারের সুপারস্টারের পারিশ্রমিক হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা। আমরা অনুরোধ করবো, চলচ্চিত্রের বাজারের দিকে তাকান। এরবেশি পারিশ্রমিক আপনারা নিয়েন না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন নীতিমালা আগামি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। বলা হয়, চলচ্চিত্র নির্মাণের এই নতুন নীতিমালা যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় তবে প্রতিটি চলচ্চিত্র থেকে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় কমে যাবে।
চলচ্চিত্র নির্মাণের এই নতুন নীতিমালা পর্যবেক্ষণ করার জন্য গঠন করা হয়েছে ১১ সদস্যের মনিটরিং কমিটি। আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন শামসুল আলম, এবং সদস্য সচিব বদিউল আলম খোকন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন জায়েদ খান, আবদুল লতিফ বাচ্চু, আবু মুসা দেবু, সোহানুর রহমান সোহান, এমডি ইকবাল, আলিম উল্লাহ্, আসাদুজ্জামান মজনু, কবিরুল ইসলাম রানা, সুব্রুত।