Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

সুন্দর জীবনের মন্ত্র জানেন তারা

বলিউডের অন্যতম আদর্শ জুটি বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা ও তার স্ত্রী পরিচালক তাহিরা কাশ্যপ। ২০০৮ সালে ভালোবেসে তাহিরাকে বিয়ে করেছিলেন আয়ুষ্মান। এরপর সুখে দুঃখে একসাথে কেটে গেছে তাদের দাম্পত্য জীবনের ১২টি বছর। যদিও বা প্রেম থেকে বিয়ে অবদি এখন পর্যন্ত তারা একসাথে পার করেছেন ১৯ বছরের বেশি সময়! কিন্তু তারপরেও সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কখনো সংবাদের শিরোনামে আসতে হয়নি তাদের।

দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর রাখতে আয়ুষ্মান ও তাহিরার করণীয় পাঁচ গোপন ফর্মূলার সন্ধান দিয়েছে ম্যানসএক্সপি:

প্রেমের দিনগুলোর স্মৃতি বেশি বেশি স্মরণ 
প্রেম প্রতিটি মানুষের জীবনেই খুব সুন্দরতম একটি সময়। যেটিকে ঘিরে কম বেশি সবারই সুন্দর স্মৃতি থাকে। সেই স্মৃতি গুলো প্রত্যেকের জীবনেই আজীবন মনে রাখার মত কিছু না কিছু হয়ে থাকে, যার ব্যতিক্রম আয়ুষ্মান ও তাহিরা ক্ষেত্রেও নয়। সম্প্রতি তাহিরা তার একটি সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন যে, ‘কলেজে পড়াকালীন সময়ে আয়ুষ্মানের সাথে ১১ বার শাহরুখ খানের ‘অশোকা’ ছবিটি দেখেছিলাম। কারণ ওই সময়টিতে চন্ডিগড়ের মত জায়গাতে প্রেম করার জন্য থিয়েটারে মত ভালো জায়গা আর ছিল না। প্রেমচলাকালীন এই মুহূর্তগুলোর কথা আজও মনে পড়লে খুব হাসি পায়। কতই না পাগলামি করেছিলাম সেই সময়টিতে।’

সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা এড়ানো
সবাই ই কম বেশি সম্পর্ক নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। আয়ুষ্মান এবং তাহিরার সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে এমনটি হয়নি তা কিন্তু নয়। আদর্শ জুটি হিসেবে দর্শকদের সামনে পরিচিতি পেলেও কিন্তু তাহিরা সম্পর্ক নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন। আর সেটি হয়েছিল আয়ুষ্মান অভিনীত ‘নটাংকি শালা’ সিনেমার ক্ষেত্রে। মনে করে দেখুন, ‘নটাংকি শালা’ ছবিতে অভিনেত্রীর সাথে আয়ুষ্মানের চুম্বনের একটি দৃশ্য রয়েছে, যা সচরাচর আয়ুষ্মান অভিনীত সিনেমাতে দেখা যায় না। তবে এই ছবিতে আয়ুষ্মানের এই চুম্বনের দৃশ্য দেখেই বেশ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগেছিলেন তাহিরা। যদিওবা পরবর্তীতে সেটিকে স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলেন তিনি।

সম্পর্কে রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা 
বিবাহিত জীবনে কম বেশি সবারই ঝগড়া হয় তবে তাহিরা আয়ুষ্মানের উপর সবথেকে বেশি রাগ করেছিল যখন ‘দম লাগাকে হাইসা’ ছবিতে অভিনেত্রীকে কোলে তুলেছিলেন আয়ুষ্মান! কেননা তাহিরার দাবি ছিল আয়ুষ্মান বিবাহিত জীবনে তাহিরাকে কখনো কোলে নেননি। আর সে কারণেই তাহিরা রেগে গিয়ে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিলেন! তবে পরবর্তীতে তাহিরার সেই রাগও পানি হয়ে যায়।

প্রেগনেন্সি পিরিয়ডে হতাশাগ্রস্ততা
এছাড়াও সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে তাহিরা এও জানান আয়ুষ্মান যখন বলিউডে ‘ভিকি ডোনার’ সিনেমার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন তখন নিজের প্রেগনেন্সি পিরিয়ড পার করছিলেন তাহিরা। এই সময়টিতে স্বামীর সাপোর্ট স্ত্রীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সে সময় আয়ুষ্মান আমাকে যথাযথ সাপোর্ট দিলেও আমি খুব হতাশায় ভুগতাম। এমনকি এও ভেবেছিলাম বলিউডে চান্স পেয়ে আয়ুষ্মান আমাকে ছেড়ে দিবে কিনা! তবে এমনটা হয়নি।

পরিচালনায় এসে চিন্তাধারায় পরিবর্তন
মূলত তাহিরার সকল নিরাপত্তাহীনতা, হিংসা কিংবা সন্দেহ সব কিছুই কেটে যায় যখন তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনায় নামেন। একই সাথে আয়ুষ্মান অভিনীত শ্রীরাম রাঘওয়ানের ‘আন্ধাধুন’ ছবিটি তাকে অন্য পথের সন্ধান দেয়। কারণ ছবিটির শুটিং চলাকালীন পুরোটা সময় তাহিরা সেটে উপস্থিত ছিলেন। ফলে সিনেমার অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো সম্পর্কে তাহিরার ধারণা পাল্টে যায়।

Exit mobile version