গভীর বনে যাওয়া নিষিদ্ধ আর বনের সীমান্তে শক্তজালের প্রাচীর দেয়ায় বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব কমেছে সুন্দর বনের ভারতীয় অংশে । তবে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বসবাসকারীদের অনেক সমস্যাই বাংলাদেশ অংশে বসবাসকারীদের মতেই।
বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমকর্মী আর গবেষকদের পর্যবেক্ষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে । সুন্দরবন রক্ষায় অভিন্ন সমস্যাও চিহ্নিত করেছেন তারা।
সুন্দরবনের ভেতর বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বালি দ্বীপ । ঘূণিঝড় আইলার শিকার হয়েছিলেন এই দ্বীপের বাসিন্দারাও । সেখানেও চলছে কষ্টের জীবনযাপন।
এলাকাবাসীরা জানান, তাদের সমস্যা অনেক। মাছ ধরে, দিনমজুর খেটে কোনো রকমে জীবনযাপন করছেন তারা।লোনাপানি আর জীবীকার সংকটে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন ।
মিষ্টি পানির জন্য পুকুর কাটা হচ্ছে সুন্দর বনের ভারতীয় অংশেও । তবে বাঁধ মেরামত সহ সমস্যাগুলো বাংলাদেশের মতোই । বনের সীমান্তে শক্তজালের প্রাচীর দেয়ায় বাঘ আসেনা লোকালয়ে। স্থানীয়রা জানান, কয়েকবছরে মানুষের হাতে বাঘ বা বাঘের হামলায় মানুষ মারা যায়নি সেখানে ।
সুন্দরবন নিয়ে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের ডকুমেন্টারী, প্রথমআলোর ছবি, বুয়েট, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা চিত্র তুলে ধরে আলোচনা হয়েছে সুন্দরবনেই।
দুদেশের সুন্দরবনে অভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে যৌথ কার্যক্রমের সুপারিশমালা তৈরী করা হয়। সুপারিশ আসে লবণাক্ততা কমাতে ত্রিদেশীয় কার্যক্রমেরও। সেখানে বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, নেপালে সম্ভাবনাময় কয়েকটি সাইট আছে যেখানে ড্যাম করে পানি আটকে রাখা সম্ভব এবং শুকনো মৌসুমে সেখান থেকে পানিটা ছেড়ে দিলে গঙ্গার পানির প্রবাহ বেড়ে যাবে।ফলে দুদেশই এই পানি ভাগাভাগি করে নিতে পারবে।
বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক সঞ্জয় গুপ্তা বলেন, আমার মনে হয় দুই দেশ একসাথে মিলে যদি নিজেদের সম্যাগুলো আলোচনা করে এবং সমাধানে একে অপরকে সহযোগিতা করে সেটাই অনেক ফলপ্রসু হবে।