মাত্র কয়েকটি সিসি ক্যামেরা পাল্টে ফেলেছে একটি গার্লস স্কুলের চিত্র। শিক্ষার্থীরা বলছে, এ ব্যবস্থার ফলে বখাটে আর বহিরাগতদের আড্ডাসহ সব ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়েছে।
স্থানীয় বখাটে ও বহিরাগতদের আড্ডার জায়গা ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। এ নিয়ে প্রশাসন নানা উদ্যোগ নিলেও স্কুলের সামনের পরিবেশ ঠিক রাখা যাচ্ছিল না।
এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন কয়েক মাস আগে স্কুলের সামনে কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসায়। আশপাশের সবগুলো পয়েন্ট রাখা হয় নজরদারিতে। বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে অযথা আড্ডা দেওয়ার ঘটনায় ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে সতর্ক করা হয়। এরপরই পাল্টে যেতে থাকে স্কুলের চিত্র।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুল থেকে মেয়েরা বের হলে প্রধান শিক্ষক বা অন্য শিক্ষকরা অফিস রুমে বসে তা দেখতে পান। এই নজরদারির ফলে তাদের ওপর বখাটেদের শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার কমে গেছে বলে জানায় তারা।
শিক্ষকরা বলেছেন, বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন তারা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিন বলেন, স্কুল প্রাঙ্গণে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানোর কারণ হলো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যেনো স্কুল কর্তৃপক্ষ অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পারে।
মির্জাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতাধীন থাকার কথা পুরো সদরে প্রচার করে দেওয়া হয়েছে। তাই এখন আর বখাটেরা স্কুল প্রাঙ্গণে তেমন একটা আসে না বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
আগে মেয়েরা স্কুলে আসার সময় হলে স্কুলের বাইরে অনেক বখাটে ছেলে ঘোরাফেরা করতো। কিন্তু সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর থেকে এখন আর তারা আসে না বলে জানান স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ সরকার।
অভিনব এই উদ্যোগ নেওয়ার কারণে পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এলাকায় সুনাম অর্জনের পাশাপাশি সেখানে অপরাধ প্রবণতা অনেক কমেছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই স্কুলের পর আরো বেশ কয়েকটি স্কুলও আনা হয়েছে নজরদারির আওতায়।