সিলেটে হেরে শুরু করার পর মিরপুরে দাপট দেখিয়ে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে জয়। সমতায় থাকা সিরিজ এবার নিজেদের করে নেয়ার ম্যাচে নেমেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
শনিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগের দুই ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই নেমেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়রাও সেখানে গত ম্যাচের হারা একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে। ব্রাভোর জায়গায় খেলছেন রাদারফোর্ড, তার অভিষেক টি-টুয়েন্টি।
এদিনও চার পেসার নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান ও আবু হায়দার রনি আছেন পেস স্পেশালিস্ট হিসেবে। তাদের সঙ্গে গতি মেলাবেন দুই পেস-অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন ও আরিফুল। স্পিন সামলাবেন মিরাজ ও সাকিব।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে জয়ের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজে শুভসূচনা হয়নি সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। তাতে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজে সব ফরম্যাটে ট্রফি জয়ের ট্রেবল সম্ভাবনার সামনে জমেছিল শঙ্কার মেঘ। বৃহস্পতিবার জিতে সমতা ফেরানোর পর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। শনিবার হোম অব ক্রিকেটে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারলে জয়ে বছর শেষ করার সঙ্গে সিরিজ জয় ও প্রথমবার ট্রেবল জয়ের কীর্তিতে নাম লেখাবে বাংলাদেশ।
দুই টেস্টের সিরিজ বাংলাদেশের মুঠোয় এনেছিল নির্বিঘ্নে, ২-০তে জিতে। সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় এসেছে হেসেখেলে, সিরিজ ২-১এ জয়। সাফল্যের পদযাত্রায় সেসব জয়ই হাতছানি দিয়ে ডাকছে নতুন ইতিহাসের। প্রথমবার তিন সংস্করণের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে ট্রেবল জয়ে আলিঙ্গন, দারুণ এক বছরের শেষটা করে তুলবে আরও রঙিন।
২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এপর্যন্ত বিভিন্ন দলের বিপক্ষে ১৪টি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। চৌদ্দবারের মধ্যে কখনোই একসঙ্গে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সিরিজ জিততে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে চলা সিরিজে এবারই সেরা সুযোগ বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহমান, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি, মোস্তাফিজুর রহমান।