আগের মত কাজের ব্যস্ততা নেই প্রবীণ অভিনেত্রী সুজাতা আজিমের। গেল পাঁচ বছর ধরে নেই শুটিং ব্যস্ততা, অনেকটা অবসরে দিন কাটছে তার। মাঝেমধ্যে দু-একটি ছবিতে কাজ করছেন, দেখা মিলছে নাটকেও। যার জন্য রোজগারও কমে গেছে গুণী এই শিল্পীর। অনেক সময় হিমশিম খেতে হয় সংসারের ঘানি টানতে।
শারীরিকভাবে এখনো বেশ সক্ষম রূপবান খ্যাত এই নায়িকা। সেজন্য সুজাতার মনের মধ্যে এখনও অভিনয়ের ক্ষুধা। তাই অভিনয়ে নিয়মিত নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান ৩০০ ছবির এই অভিনেত্রী। সুজাতা বলেন, একটা সময় প্রতিদিনই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই বয়সও নেই, সময়ও নেই। কিন্তু কাজ করার প্রবল ইচ্ছে আছে। শারীরিকভাবেও সুস্থ আমি। কাজে নিয়মিত হতে চাই।
চ্যানেল আই অনলাইনকে সুজাতা বলেন, কিছুদিন আগে ‘মন দেব মন নেব’ ছবির শুটিং করেছি। আর আনন্দ অশ্রু ছবির করছি মাত্র দুদিন। ১২ তারিখ থেকে আবার শুটিং। ছবিতে আমি মাহির দাদী। আর দু একটা নাটকে কাজ করছি। আগে যেমন সারামাস শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম, এখন সেই অবস্থা নেই। মাঝেমধ্যে শুটিং করি।
তিনি বলেন, নাটক, সিনেমা দুই মাধ্যমেই কাজ করতে চাই। সিনেমায় কাজ করলে একটু বেশি ভালো লাগে। কিন্তু যে ক্যারিয়ারে পার করে এসেছি, তাতে এখন এসেও ব্যস্ত থাকার কথা। শুধু আমি নই, আমার মত অনেক সিনিয়র শিল্পীদের কাজে নেয়া হচ্ছে না।
কেন নেয়া হচ্ছে না? আগে যারা সিনেমা নির্মাণ করতে অনেকে এখন সরে গেছেন। নতুনদের সঙ্গে আমার মতো সিনিয়রদের যোগাযোগ অনেক কম। অনেকের সঙ্গে পরিচয় নাই। তাছাড়া, সিনিয়রদের নিয়ে নির্মাতাদের ভাবনাও কম থাকে। নায়ক-নায়িকাদের ফোকাস করা হয় বেশি। আমার মনে হয় সেজন্য সিনিয়র শিল্পীদের নিয়মিত কাজে নেয়া হচ্ছে না- বললেন সুজাতা।
১৯৬৫ সালে ‘রূপবান’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর তুমুল জনপ্রিয়তা পান সুজাতা। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন শীর্ষ নায়িকাদের একজন। সুজাতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘এতটুকু আশা’, ‘রাজাসন্ন্যাসী’,‘বড় বউ’, বশির ‘কাঞ্চন মালা’, ইবনে মিজানের ‘জরিনা সুন্দরী, ‘নাগিনীর প্রেম’,‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘বদলা’,‘আলোর মিছিল’, ‘লালন শাহ’, ইবনে মিজান পরিচালিত ‘তিতুমীর’, ‘নাগিনীর প্রেম’, ‘আমির সওদাগর’, ‘ভেলুয়া সুন্দরী’, রাজ্জাক পরিচালিত ‘বেঈমান’, ‘আপনজন’, সুমিতাদির (দেবী) ‘মোমের আলো’, ‘মায়ার সংসার’, ‘আদর্শ ছাপাখানা’ ইত্যাদি।