সিঙ্গাপুরে আরেক বাংলাদেশির দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সোমবার তার ভাইরাসের সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করা হলেও তা গণমাধ্যমে আসে পরে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দৈনিক আপডেটের অংশ হিসেবে আরও ২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি। অন্যজন সিঙ্গাপুরের একজন পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট।
আক্রান্ত বাংলাদেশি দু’জনই একই এলাকায় কাজ করতেন বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়া। তাদের কারো বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।
এছাড়া মঙ্গলবার ২ জনসহ মোট ৯ জন আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে বলেও জানিয়েছে সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৪৭তম ব্যক্তি একজন ৩৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি শ্রমিক। তিনি ১০ নম্বর সেলেটার এরোস্পেস হাইটস এলাকায় কাজ করতেন। তিনি সম্প্রতি চীন সফর করেননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি অসুস্থবোধ করলে তিনি পরদিন পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে যান। করোনা সন্দেহে তার পরদিন, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে পরীক্ষার জন্য এনসিআইডি’তে (করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ বিভাগ) পাঠানো হলে পরীক্ষা তার দেহে জীবাণুটি ধরা পড়ে।
সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এর আগে এই ব্যক্তি নিয়মিতই কাজে গেছেন এবং জনবহুল ভিরাসামি রোডে ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেছেন।
১০ নম্বর সেলেটার এরোস্পেস হাইটস এলাকায় এই ব্যক্তির সঙ্গেই এর আগে কাজ করতেন ৩৯ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক। গত ১ ফেব্রুয়ারি উপসর্গ অনুভব করলে তিনি ৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি যান চ্যাংগি জেনারেল হাসপাতালে।
৭ ফেব্রুয়ারি ফলোআপ অ্যাপয়েন্ট নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বেডক পলিক্লিনিকে গেলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে তাকে চ্যাংগি জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৮ ফেব্রুয়ারি ওই বাংলাদেশির দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে তাকে এনসিআইডি’তে স্থানান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সেখানে একটি আইসোলেশন রুমে তাকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি সিঙ্গাপুরের জমজমাট শপিং মল মুস্তফা সেন্টারে গিয়েছিলেন এবং কাকি বুকিত রোডে দ্য লিও ডরমিটরিতে বহুদিন ধরে অবস্থান করেছিলেন।