যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দিয়েছেন।
বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সের মানুষ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদগাহে মিলিত হন। এরপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী সম্পন্ন করেছেন। ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব মিলিয়ে গেছে আজকের এই ঈদ আনন্দে।
পবিত্র ঈদুল আজহার ইতিহাস স্মরণ করলে ত্যাগের এই মানসিকতাই লক্ষ্য করা যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর অভূতপূর্ব সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ হয়ে পশু কোরবানি করে থাকেন।
এমন একটি সময়ে এবার ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে, যখন আমাদের জাতীয় জীবনে ত্যাগের মানসিকতা খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। তাই ঈদের এই তাৎপর্য থেকে আমাদেরকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
ঈদের প্রকৃত শিক্ষা হলো- শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ। পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ গ্রহণ করলে খুব সহজেই বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। সুতরাং কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।