বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফদের বড় অংশই শ্রীলঙ্কান। তাতে সুবিধাই হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে বাড়তি ধারণা পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। টেস্ট স্কোয়াডের বেশিরভাগ সদস্যই শ্রীলঙ্কায় খেলেননি। তাইতো কোচদের দিকে তাকিয়ে দলের নবীন ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ক্যাম্প মাত্র ৩ দিনের। সময়টা কম বলেই কিনা প্রতিদিন দুই সেশনে চলছে লঙ্কা-বধের প্রস্তুতি। সকালে দুই ঘণ্টা, আর বিকেলে তিন ঘণ্টা। বিকেলের সেশনে ইনডোরের নেটে পেসার-স্পিনাররা টানা বল করেছেন ব্যাটসম্যানদের। মাঝখানের নেটে দাঁড়িয়ে অনুশীলন দেখভাল করেছেন প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
একই সময়ে একাডেমি মাঠে নেট বোলারদের নিয়ে ব্যস্ত ব্যাটিং পরামর্শক থিলান সামারাবীরা। নেট বোলারদের সবাই স্পিনার। একজন লেগস্পিনার, বাকি দুজন অফস্পিনার। নেটে ব্যাটসম্যানদের সময় ২০ মিনিট করে। একে একে ব্যাটিং করলেন লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, সাব্বির রহমান। স্পিন খেলার জন্য ব্যাটসম্যানদের আলাদা করে অনুশীলনের কারণটা পরিষ্কার- শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে স্পিনাররাই যে টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় হুমকি!
নেট বোলারদের সঙ্গে সামারাবীরা নিজেও হাত ঘোরালেন। অফস্পিনে বেশিরভাগ বল দিয়েছেন ফুল লেংথে। মাঝে মাঝে ফুলটস। উদ্দেশ্যটা আরও পরিষ্কার তাতে। স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের সামনের পায়ে খেলায় অভ্যস্ত করা। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ব্যাকফুটে গেলে রঙ্গনা হেরাথের মতো স্পিনারকে সামলানো যে কঠিন হবে, সেটাই যেন বোঝাতে চাইলেন সামারাবীরা। বাকিটা মাঠের খেলায় প্রমাণের অপেক্ষা। এই লঙ্কানের দেয়া দীক্ষা তাতে টাইগার ব্যাটসম্যানদের ভালোই রসদ যোগাবে।