ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই গৃহকর্মীর একজনকে ও গৃহকর্মী সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার একজন গৃহকর্মী হলেন স্বপ্না এবং তার সরবারহকারী। এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত নিউমার্কেট থানায় বিকেল ৩টায় প্রেস ব্রিফিং জানানো হবে বলেন ওসি আতিকুর।
পাঁচদিন দিন পর এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের কুল কিনারা করতে পারলো পুলিশ। তারা শুরু থেকেই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে পারলে মূল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে জানিয়েছিল।
এর আগে সোমবার মাহফুজা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তে শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক (ডিএমসিএইচ) মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন: মরদেহের একটি আঙুল ভাঙা ছিলো। অধ্যক্ষ মাহফুজাকে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে সম্ভব হয়নি। একাধিক ব্যক্তি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে মনে হয়। মৃত নারীর ঠোঁটে, মুখে, আঙুলে ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, দুই গৃহকর্মীর রুমা ওরফে রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। এ বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে সে নিহত মাহফুজা চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। অপর গৃহকর্মী স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা থানাধীন রায়কুটি এলাকায়। গত ১৮ জানুয়ারি সে মাহফুজা চৌধুরীর বাসায় কাজে যোগ দেয়।
রোববার বিকেলে রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা ছিল মাহফুজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ওইদিন বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে। পরদিন সোমবার নিউমার্কেট থানায় দুই গৃহকর্মীকে প্রধান আসামি করে মাহফুজার স্বামী ইসমত কাদির গামা মামলা করেন।
মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির গামা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলায় দুটি ফ্ল্যাটে এই দম্পতির সংসার।