সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সর্বোচ্চ বেতন ৫ হাজার টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার আর সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২শ ৫০ টাকা করার সুপারিশ করেছে বেতন-ভাতা রিপোর্ট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।
অর্থমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়ে এ কমিটির প্রধান মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন, দুই ধাপে সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে। পহেলা জুলাই থেকেই নতুন বেতন স্কেল কার্যকর করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডক্টর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন জমার প্রায় ৪ মাস পর বিস্তারিত পর্যালোচনা করে সুপারিশ জমা দিলো সচিব কমিটি। কমিটি আগের প্রতিবেদনের কিছু বিষয়ে পরিবর্তন এনেছে।
ডক্টর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বের কমিটি সর্বোচ্চ বেতন সুপারিশ করেছিল ৮০ হাজার টাকা। সচিব কমিটি বলেছে ৭৫ হাজার। তবে সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২শর জায়গায় ৮ হাজার ২শ ৫০ টাকা করার সুপারিশ করেছেন তারা। গ্রেড আগের মতো ২০টিই থাকছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গ্রেড ২০ টিই থাকছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা এখন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
বেতন ও চাকরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে অর্থের কোনোও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব মাহাবুব আহমেদ।
বেতন বাড়ানোর সুপারিশের সময় গত ৫ বছরে ৬৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করেছেন কমিশনের সদস্যরা।
২০১৩ সালের নভেম্বরে প্রজ্ঞাপণ জারির ১ বছরের মাথায় ২১ ডিসেম্বর রিপোর্ট জমা দেয় অষ্টম বেতন ও চাকরি কমিশন। ওই রিপোর্টের প্রায় ৪ মাস পর রিপোর্ট জমা দিলো সচিব কমিটি। সপ্তম বেতন কমিশন হয়েছিলো ২০০৯ সালে।
নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে সরকারের রাজস্ব ব্যয় ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আগেই জানিয়েছে বেতন ও চাকরি কমিশন।