সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে হচ্ছে না মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্তে আজ সমস্ত জাতি শুধু হতাশই হয়নি, বিক্ষুব্ধও হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন না আসায় তার জামিন শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এরই প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালকের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন: “আপনারা গতকাল প্রধানন্ত্রীর কথা শুনেছেন। সেখানে বিচারবিভাগের উপর তার হস্তক্ষেপের বিষয়টি স্পষ্ট। তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”
একজন সাধারণ নাগরিক মামলা হলে যে সুযোগ সুবিধা পান খালেদা জিয়া তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েও সেই সুযোগ পাচ্ছেন না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন: “যে মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন দেয়া যায় সেই মামলায় ২০ মাসেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। বরং বিভিন্নভাবে তার ওপর অন্যায় নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে জামিন না দেয়াটা অমানবিক।’
এ সময় গত ৩০ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে দেয়া খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন সাংবাদিকদের পড়ে শোনান মির্জা ফখরুল।
সেখানে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন: ‘তার শরীরে নানা জটিলতা রয়েছে। তিনি দিন দিন পঙ্গু হয়ে পড়ছেন। ঠিক মতো চিকিৎসা না করায় তার হার্টেও সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
“খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে কোনো ঘটনা ঘটলে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব এই অনির্বাচিত সরকারকেই নিতে হবে। জনগণ এই অন্যায় মেনে নেবে না।”
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের চার্জশিটের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন: ‘কাকতালীয় কিনা জানিনা, গতকালই সাবেক প্রধন বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ থেকেই স্পষ্ট বিচারপতিদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।’