বিশ্বের ১৫টি দেশের ২০০ জন নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে ২২ নভেম্বর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ে প্রথমবার বসছে আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবের আয়োজন ‘ওশান ড্যান্স ফেস্টিভাল’।
কক্সবাজারের সমুদ্র পাড়ে এই উৎসব চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বব্যাপী নৃত্যশিল্পীদের সংগঠন দ্য ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স-এশিয়া প্যাসিফিকের (ডব্লিউডিএ-এপি)-এর বাংলাদেশ শাখা নৃত্যযোগ প্রথমবারের মতো এই আয়োজনটি করছেন।
বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক পর্যটনের মেলবন্ধন রচনার জন্যই এই আয়োজন বলে জানান উৎসবের প্রিন্সিপাল কিউরেটর ও নৃত্যযোগের সাধারণ সম্পাদক লুবনা মারিয়াম।
এদিকে নৃত্যযোগের সভাপতি ও নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ওশান ড্যান্স ফেস্টিভাল উপলক্ষ্যে বিশ্বের অন্তত ১৫টি দেশ থেকে প্রায় দুইশো ড্যান্সার বাংলাদেশে আসছেন। এটি সত্যিই বিরাট আয়োজন। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের নৃত্যশিল্পকেও বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পারবো বলে আশা করছি।
উৎসবের চার দিন ভোর থেকে মারমেইড ইকো রিসোর্ট সংলগ্ন সৈকতে চলবে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন, কর্মশালা, সেমিনার। সন্ধ্যা থেকে কক্স কার্নিভাল মিলনায়তনে থাকবে দুই দফা নৃত্য পরিবেশনা। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসবেন আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচিত শিল্পীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে চলবে জাতীয়ভাবে নির্বাচিত শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকনৃত্য, সমসাময়িকনৃত্য, শাস্ত্রীয়নৃত্য ও নৃত্যনাট্য।
দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে অমিত চৌধুরী ও সুইটি দাসের ‘রূপান্তর’, জুয়েইরিয়াহ মৌলির ‘অর্ধনারীশ্বর’, শাম্মি আখতারের ‘মাইন’, আনন্দিতা খানের ‘রিফিউজি’, মৌমিতা জয়ার ‘রিলিজিয়ন: আ কজ অব কনফ্লিক্ট ইন কালচার’, আবু নাঈম খানের ‘লালন’, আরিফুল ইসলাম অর্ণবের ‘মানুষ’, তাহনুন আহমেদীর ‘আজান’, মেহরাজ হক তুষারের ‘ট্রাস্ট’, অলকা দাস প্রান্তির ‘কত্থক টু ওড়িশি’, বৃষ্টি ব্যাপারির ‘ফ্রেম অব মাইন্ড’।
এ ছাড়া যৌথ পরিবেশনা লিথুনিয়া ও ভারতের শিল্পী ক্রিস্টিনা ডলিনিনা ও শিবানি ভার্মার প্রযোজনা ‘হ্যাভ উই মেট বিফোর?’, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের প্রযোজনা অনন্যা চ্যাটার্জি ও তাসকিন আনহার ‘তফাত’, ভারতের সেফায়ার ক্রিয়েশন ও বাংলাদেশের নৃত্যশৈলির প্রযোজনা ‘কি তা রে বা’।
ভারত ও বাংলাদেশের অনিল কুমার সিং ও মোফাজ্জল আলিফের প্রযোজনা ‘আই অ্যান্ড মাইসেল্ফ’ এবং কানাডার সাশার জারিফের সঙ্গে কোরিওল্যাব থেকে নির্মিত হংকং, ভারত ও বাংলাদেশের একটি বিশেষ প্রযোজনা।
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নৃত্যনাট্য বাদী–বান্দার রূপকথা। সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের নৃত্য পরিচালনায় শামীম আরা নীপা ও শিবলী মহম্মদসহ এতে নাচ করবেন আশি জনেরও বেশি শিল্পী।
উৎসবের আয়োজন সহযোগী হিসেবে আছে মাত্রা ও চ্যানেল আই। সমর্থন দিচ্ছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও টুরিজম বোর্ড। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এ আয়োজনের অ্যাকাডেমিক সহযোগী।