সার্জিও রামোস ছিলেন না। মূল ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতিতে রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণের ভারটা ছিলো রাফায়েল ভারানের কাঁধে। কিন্তু চাপটা নিতে পারেননি ফরাসি ডিফেন্ডার, তাকেই মূল লক্ষ্য বানিয়ে তার পাশ দিয়ে দুই গোল তুলে নিয়ে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে নিজ মাঠে রিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানসিটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। অন্যদিকে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ছাড়া ঘরে ফেরার তিক্ত স্বাদ পেলেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান।
প্রথম লেগে নিজ মাঠে ২-১ গোলে হারা রিয়ালের ম্যানসিটির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে হলে বিশেষ কিছুই করতে হতো। অথচ শুরুতেই ভুল করে বসলেন ভারানে। ৯ মিনিটের মাথায় নিজেদের ডি-বক্সে থাকা বলটাকে ক্লিয়ার না করে অহেতুক ড্রিবলিং করছিলেন, এর ফাঁকেই তার পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাহিম স্টার্লিংয়ের দিকে বল বাড়িয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসাস। তাতেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিলো ম্যানসিটি।
২৭ মিনিটে করিম বেনজেমা সেই গোলটা শোধ দিয়ে রিয়াল সমর্থকদের আশায় রেখেছিলেন। কিন্তু ৬৮ মিনিটে ভারানের আবারও শিশুতোষ ভুল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল বুকে রিসিভ করতে গিয়ে সেই জেসাসের পায়েই বল তুলে দিয়েছেন। তাতেই রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
যাকে বলা হয়ে ইউরোপের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার সেই ভারানের দুই ভুলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেলো রিয়াল। ম্যাচ শেষে নিজের ভুলগুলো লুকাতে চাননি ২৭ বছর বয়সী বিশ্বকাপজয়ী ডিফেন্ডার, ‘ আমার কারণেই এই হার। আমাকে এটা মানতেই হবে।’
‘ আমার সতীর্থদের জন্য আমার খারাপই লাগছে। হারের দায়টা আমিই নিচ্ছি। আমরা ভালোই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু এই পর্যায়ে এসে ভুল করলে তার মাসুল দিতেই হয়। ফুটবলে ভুল হবেই। রাতটা আমার জন্য খুব কঠিন।’
রাতটা কঠিন ছিলো জিনেদিন জিদানের জন্যও। এর আগে রিয়ালের কোচ হয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেমেই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি। ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিতেছেন হ্যাটট্রিক শিরোপা। শুক্রবার রাতে ভারানের ভুলের কারণে এই প্রথম খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাকে তাও আবার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই।
এরপরও ভুলের জন্য ভারানেকে মোটেও দোষ দিচ্ছেন না জিদান,’ শুধু শান্ত থাকতে হবে আর নিজের মাথাকে উঁচু রাখতে হবে। এই খেলোয়াড়রাই বছরজুড়ে ৯৫ শতাংশ সময় ভালো খেলেছে। আমি খেলোয়াড়দের সবসময় বলি…তোমরা হারলে আমাদের ভালো লাগে না কিন্তু আমরা যা পেয়েছি তার জন্য আমরা গর্বিত।’