চারদিকে যখন তারকাদের সংসার ভাঙা-গড়ার খবরে সাধারণ মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত, তখন নিভৃতে ঘরোয়া আয়োজনে স্ত্রী সন্তান ও পরিবার নিয়ে নিজের ১৩তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
চলচ্চিত্রে ইদানিং খুব কমই দেখা যাচ্ছে এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা ফেরদৌসকে। ‘সুপারস্টার’ তকমা গায়ে না লাগলেও ক’বছর আগেও তিনি ঢাকা-কলকাতার সিনেমায় সমান দাপট নিয়ে কাজ করেছেন নিয়মিত। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা আর আগের মতো নেই, নানা ধরনের স্বার্থ যোগ হয়েছে। তাই যেন কিছুটা অভিমান বুকে কাজ করছেন বেছে বেছে। এসব জানতেই শনিবার সন্ধ্যায় যোগাযাগ করা হয় এই চিত্রনায়কের সঙ্গে।
কিন্তু তিনি জানালেন একটু ব্যস্ত আজ। অন্য একদিন সময় করে সামনাসামনি কথা বলবেন। সব বিষয় নিয়েই তিনি বলতে ইচ্ছুক। ফোনেই তাকে উল্টা প্রশ্ন, কোনো প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত? চিত্রনায়ক ফেরদৌস কিছুটা হেসে উত্তর দিলেন, না। আজকে আমার অ্যানিভার্সারি!
কিছুটা বিস্মিত হয়ে ‘কংগ্রেচুলেশন!’ বলতেই তিনি বিষয়টা যেন আঁচ করতে পেলেন। কতো বছর হলো জানতে চাইলে তিনি জানালেন, আজকে আমাদের বিয়ের ১৩ বছর হল।
‘ভাবীকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন নিশ্চয়?’-এমন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠকে কিছুটা থামিয়ে তিনি বললেন, না। কোথাও যাচ্ছি না। আসলে আমার বড় মেয়ে নুজহাতের পরীক্ষা হচ্ছে, সেজন্যই আমরা আড়ম্বর কোনো অনুষ্ঠান করছি না। ঘরোয়াভাবেই বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করছি। ঘরেই একটু পর কেক কাটবো।
নুজহাতের বয়স কতো? প্রশ্নে ফেরদৌস বলেন, বড় মেয়ে নুজহাত ফেরদৌসের বয়স ১১ বছর। আর ছোট মেয়ে নামিরা ফেরদৌসের বয়স ৭।
স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু তানিয়া(স্ত্রী) একজন বৈমানিক ফলে তাকে দেশের বাইরেই থাকতে হয়। এখন সে থাইল্যান্ডে থাকে। আমাদের বিশেষ দিনগুলোতে শত ব্যস্ততার মধ্যেও যেভাবেই হোক আমরা একসঙ্গে থাকি। কথার এক প্রসঙ্গে তিনি এও বললেন, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যেন আমরা সারা জীবন একসঙ্গে থাকতে পারি।