৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের সেই দিনটিতে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। সে বছরই ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হিসাবে এই সংবিধানকে বিবেচনা করা হয়।
এই দিবস উপলক্ষ্যে সংবিধান বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ।
সংবিধান দিবসের গুরুত্ব কতটুকু? বিশ্বের কোন কোন দেশ সংবিধান দিবস পালন করা হয়?
তুুরিন আফরোজ: আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধান দিবস বলতে আমাদের সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করে সমবেত ভাবে গ্রহণ করার দিনটিকে আমরা “সংবিধান দিবস” হিসেবে বুঝি। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দেশের জনগণের সাথে রাষ্ট্র অর্থাৎ বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি এই সংবিধান। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর আমরা আমাদের সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করে সমবেত ভাবে গ্রহন করেছিলাম। তাই প্রতিবছর ৪ নভেম্বর আমরা আমাদের ‘সংবিধান দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকি।
পৃথিবীর বেশীর ভাগ উন্নত দেশই সংবিধান দিবস পালন করে থাকে তবে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভারত ২৬ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্র ১৭ সেপ্টেম্বর, কানাডা ১ জুলাই, রাশিয়া ১২ ডিসেম্বর।
দেশ স্বাধীনের পর জাতির গৌরব রক্ষায় সংবিধানের অবদান কতটুকু?
তুরিন আফরোজ: বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবনে সংবিধান দিবস মহান তাৎপর্য বহন করে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এর স্বাধীনতার ঘোষণার ফলে আমরা আমাদের সংবিধান পেয়েছি। স্বাধীনতা অর্জন ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি হিসেবে আমাদের একটি ঐতিহাসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এই সংবিধান অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৫ লাখ নির্যাতিতা নারীর দীর্ঘশ্বাস । তাই জাতি হিসেবে সংবিধান রক্ষা করা এবং তার সার্বভৌমত্ব বজায় রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
সংবিধান সমুন্নত রাখতে আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি (নির্বাহী, বিচার, আইন) বিভাগের কোন বিভাগের গুরুত্ব আপনার কাছে কতটুকু?
তুরিন আফরোজ: তিনটি (নির্বাহী, বিচার, আইন) বিভাগেরই গুরুত্ব সমান। আইন বিভাগ যেমন আইন প্রণয়ন করে ঠিক তেমনি নির্বাহী বিভাগ তেমনি সেই আইনের প্রয়োগ করে ঠিক তেমনি বিচার বিভাগ এই আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগে অ-সাংবিধানিক কিছু হচ্ছে না এই বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করে। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে কেউ কারো উপরস্থ বা অধনস্ত নয়। ৩টি বিভাগের কোনটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং ৩টিই সমান। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় আমাদের সংবিধানের মূল চেতনা হচ্ছে সুপ্রিমেসি অফ কন্সটিটিউশন বা সাংবিধানিক প্রাধান্য কোন বিশেষ বিভাগের প্রাধান্য নয়।
বর্তমানে সুশীল সমাজের একটি পক্ষ ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানে ফিরে যাবার দাবি অনেক দিনের।। ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়া কি আদৌ সম্ভব?
তুরিন আফরোজ: ১৯৭২ সালের সংবিধান হল জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি। ৭২ সংবিধানকে অস্বীকার করার মানেই হল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদিরূপকে অস্বীকার করা। মুখ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ আলাদা করলে যেমন মুখটিকে চেনা কঠিন হয়ে পরে ঠিক তেমনি ১৯৭২ সালের সংবিধানকে অবহেলা করে আমরা আমাদের প্রকৃত বাংলাদেশকে হারিয়ে ফেলবো। কিন্তু ইতিহাসের পরম্পরায় আমরা হারিয়েছি অনেক কিছু। বদলেছে যুগ, বদলেছে সময় আর সেই সাথে বদলেছে পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা। আজকের বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার মানে হল আমরা ৭২ সালের সংবিধানে ফিরতে চাই এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি ৭২ সংবিধান পরিপূর্ণ প্রতিস্থাপন সময়ের বাস্তবতায় সম্ভব নাও হতে পারে। তবে আমাদের সব সময় ই সেই ৭২ সংবিধানের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
সুপ্রিমেসি অফ কনস্টিটিউশন বা সাংবিধানিক প্রাধান্য রক্ষায় সংবিধানের কোন কোন বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
তুরিন আফরোজ: সুপ্রিমেসি অফ কন্সটিটিউশন বা সাংবিধানিক প্রাধান্য রক্ষায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করা উচিৎ তা হল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে শক্তিশালী করা এবং এই স্বাধীন ভাবে কাজ করতে সহায়তা করা। একি সাথে রাষ্ট্রের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তথা সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে স্বাধীনভাবে সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে কাজ করতে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে কেউ কারো উপরস্থ বা অধনস্ত নয়। ৩টি বিভাগের কোনটি কম গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং ৩ টি সমান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল স্বাধীনতা এবং দায়বদ্ধতা এক নয়। প্রত্যেকটি বিভাগকে কোথাও না কোথাও কারো না কারো কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে সংবিধান অনুযায়ী কেউই দায়বদ্ধতার উধ্বে নয় ।
সর্বপরি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
সংবিধান গৃহীত হবার পর থেকে দেশ কখনো সাংবিধানিক সঙ্কটে উপনীত হয়েছিলো কিনা?
তুরিন আফরোজ: সংবিধান গৃহিত হবার পর থেকে দেশ অনেকবার সাংবিধানিক সঙ্কটে উপনিত হয়েছিল। প্রথম সাংবিধানিক সঙ্কটে উপনিত হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার মাধ্যমে। এই সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয় ১৯৭৫ সাল ৮ নভেম্বর। তৎকালীন বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন এবং জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেন। যেখানে বিচারপতিগণ সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন বলে শপথ গ্রহণ করেন, সেখানে দেশ প্রথম সাংবিধানিক সঙ্কটে উপনিত হয়েছিলেন একজন বিচারপতির দ্বারাই। এছাড়াও আমরা দেখেছি বিচারপতি ফজলে মুনিম, বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন কিভাবে সংবিধানের উপরে সামরিক ফরমানকে স্থান দিয়ে দেশকে সাংবিধানিক সঙ্কটে উপনিত করেছেন। এই সঙ্কট আরও প্রকট হয় যখন সাবেক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন যে, ১৯৭৫ পরবর্তী সকল অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ড মূলত আমাদের সাংবিধানিক ইতিহাসেরই একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমরা দেখেছি কিভাবে আমাদের দেশের সামরিক শাসকেরা দেশকে কিভাবে সাংবিধানিক সংকটের দিকে ধাবিত করেছেন। দিনের পর দিন সামরিক শাসন জারি করে রাখা হয়েছে, হ্যাঁ –না ভোটের নামে জাতির সাথে করা হয়েছে প্রহসন। সর্বশেষ আমরা দেখেছে ২০০৭ সালে দেশকে আরও একবার সাংবিধানিক সঙ্কটে উপনিত হতে। যেখানে একটি অনির্বাচিত সরকার ৩ মাসের থাকার কথা থাকলেও দেশের সংবিধানিক আইনকে উপেক্ষা করে দেড় বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে।
সংবিধানের একটি সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এতে একেকজন একেক ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এর ফলে সাংবিধানিক কোনো সঙ্কট দেখা গিয়েছে কিনা?
তুরিন আফরোজ: এর ফলে সাংবিধানিক কোনো সঙ্কট দেখা যায়নি। কারণ রায়ের ২৪৬ নং পৃষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি নিজেই বলেছেন রায় নিয়ে সাধারণ জনগণ, মিডিয়া কিংবা সিভিল সোসাইটি আলোচনা-সমালোচনা করবে। তিনি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে আরও বলেছেন রায় নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলবে, প্রতিক্রিয়া জানাবে আর এটাই হচ্ছে জবাবদিহিতার জায়গা।
তবে আমি মনে করি আদালতের প্রতি জনগণের বিরূপ ধারনা জন্মানোর একটি আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।আদালতের প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরির জন্য শুধুমাত্র বাহিরের সমাজকে দায়ী করলে চলবে না। আদালতকেও দায়িত্ববান হতে হবে। আদালতের সম্মান, বিচারপতির পদ ও পদমর্যাদা দায়িত্বের সাথে সংরক্ষণ করতে হবে। দ্বিধাবিভক্তি সব সমাজেই আছে, ন্যায় অন্যায়ের যুদ্ধ সব সময়ই হবে। সত্য-মিথ্যার মধ্যে লড়াই অনিবার্য। সে দিক থেকে আমি বলবো ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে সেটাও সমাজেরই বৈশিষ্ট্য। সাদা-কালোর মধ্যে যে কোন একটি জয়লাভ করে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় আদালতের প্রতি জনগণের বিরূপ ধারণা তো আদালত কর্তৃক সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে আদালত কি তার সম্মান ধরে রাখতে পেরেছে? একইসঙ্গে আমি এটাও বলতে চাই, হ্যাঁ একটা সময় আদালত সামরিক ফরমান বা মার্শাল ল’ কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার পর আদালতের প্রতি সম্মানটা ফিরে এসেছে। জনগণ আবার আদালতকে সম্মান করা শুরু করেছিল। ফলে আদালতের প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়টি আদালতের ন্যায় বিচারের ওপর নির্ভর করে। আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই ন্যায়-অন্যায়ের যুদ্ধ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল আবারো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে কিনা? আইনজ্ঞরা বলছেন এটা হয়েছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এর বিপরীত কথা শোনা যাচ্ছে।
তুরিন আফরোজ: মার্শাল ল আমলে সংবিধানের ৯৬ ধারা সংশোধন করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের যে বিধান অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছিল, আপিল বিভাগ রায়ে তা পুনস্থাপন করেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কি করে কার্যকর হয়; যেখানে আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২ এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে- সংবিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরন- সবটাই সংসদের ব্যাপার।
তুরিন আফরোজ: আমরা জানি যে কোন মামলার রায়ে আদালত অবশ্যই পর্যবেক্ষণ দিতে পারে তবে সে পর্যবেক্ষণের একটা সীমারেখা থাকে। আমরা দেখেছি, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন রায়ে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। আর এটাই স্বাভাবিক। কোন মামলার মূল বিষয় থেকে বেরিয়ে অনেক দূরের কোন বিষয় নিয়ে যদি পর্যবেক্ষণ দেয় তখন কিন্তু আমরা আর বলতে পারি না যে মূল বিষয়বস্তুর সঙ্গে আর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।উদাহরণসরূপ বলা যায় ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের ৭৯৯ পৃষ্ঠার যে পূর্ণাঙ্গ রায় আমরা পেয়েছি তার মধ্যে বিশেষ করে প্রথম ৩৯৫ পৃষ্ঠা যা কি-না আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি লিখেছেন সেখানে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা হয়েছে যার সাথে মামলার মূল বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। অথচ বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতিবৃন্দ যা লিখেছেন সেটা কমবেশি বিষয় বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
সাংবিধানিক বিষয়ে বিচারিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিচারকদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু?
তুরিন আফরোজ: সাংবিধানিক বিষয়ে বিচারিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিচারকদের অবশ্যই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাকে অবশ্যই সংবিধানের আলোকে বা সংবিধান মোতাবেক বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়। তিনি চাইলেই সংবিধানের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারেন না। মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধানের মূল চেতনা সুপ্রিমেসি অফ কন্সটিটিউশন বা সাংবিধানিক প্রাধান্য। সেই সুপ্রিমেসি অফ কন্সটিটিউশন বা সাংবিধানিক প্রাধান্য রক্ষা করেই একজন বিচারককে বিচারকার্য পরিচালনা করতে হয়।
সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে আর আদৌ কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন আছে কিনা?
তুরিন আফরোজ: দেখুন সংশোধনীর বিষয়টি সব সময় সেই সময়ের বাস্তবতা নিরিখে বা বাস্তবতাকে মাথায় রেখে হয়েছে। তবে যে কোন ধরনের সংশোধনী হতে হবে সংবিধান সম্মত। ইতিহাস সাক্ষী দেয় সংবিধানের যে সব সংশোধনী সামরিক সরকাররা সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার জোরে করেছে তা পরবর্তী সময়ে আদালত অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। তাই সংবিধানের আদৌ কোন সংশোধনীর প্রয়োজন আছে কিনা তা ভবিষ্যতের বাস্তবতাই বলে দিবে। তবে একটি বিষয় অবশই মনে রাখতে হবে যে এই সংশোধনী হতে হবে সাংবিধানিক উপায়ে অর্থাৎ সংসদের মাধ্যমে এবং তা হতে হবে সংবিধান সম্মত এবং এই সংবিধান সংশোধনীর ক্ষমতা রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের অর্থাৎ সাংসদদের হাতে।