Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

সংখ্যালঘু মতুয়াদের নিয়ে রেজা ঘটকের ছবি ‘হরিবোল’

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নির্যাতিত এক নারীর সত্য ঘটনা অবলম্বনে একজন তরুণ নির্মাতা একটি সিনেমা নির্মাণ করতে বলেশ্বর জনপদের একটি গ্রামে যান। সেই গ্রামেই সন্ধান পান এক নিপীড়িত সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের। এক গল্পের ভেতরে অন্য এক নতুন গল্প। মুক্তিযুদ্ধ এবং সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারকে ঘিরে এরকম এক সমান্তরাল আখ্যানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হয়েছে রেজা ঘটকের চলচ্চিত্র ‘হরিবোল’।

আনিসুজ্জামান নিবেদিত ও বলেশ্বর ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবিটি খুব শিগগির যাচ্ছে সেন্সরে। এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাতা রেজা ঘটক।

নির্মাতা বলছেন, আমার ছবিতে পাশাপাশি প্রান্তিক গ্রামের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নানাভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

গত তিন বছর ধরে হয়েছে ‘হরিবোল’-এর কাজ। এতো দীর্ঘ সময় ধরে কেন, জানতে চাইলে নির্মাতার উত্তর: এটি বিশাল ক্যানভাসের ছবি। মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সাথে স্বাধীনতার পঁয়ত্রিশ বছর পর একটি সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের উপর নেমে আসা প্রচলিত সমাজের নিপীড়নের চিত্র এতে ধরা হয়েছে। বড় ক্যানভাসে ‘হরিবোল’ একটি জনপদের প্রতিনিধিত্ব করে। বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের উপর ‘হরিবোল’ একটি বিশেষায়িত চলচ্চিত্র। তাই সময় নিয়েই এটি করতে হয়েছে।

‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি যেমন একটি নদী বিষয়ক চলচ্চিত্র, তেমনি এটি একটি পরিবেশ বিষয়ক চলচ্চিত্র। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রে শেষপর্যন্ত চিরন্তন প্রেমেরই জয়গান করা হয়েছে।

‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রে মিউজিক কম্পোজ করেছেন অংশুমান। তিনি এই ছবির জন্য তিনটি গান লিখেছেন ও সুর করেছেন। যার মধ্যে একটি গান গেয়েছেন বাউল সফি মণ্ডল, একটি গান গেয়েছেন অংশুমান নিজেই এবং অন্য গানটি গেয়েছেন অংশুমানের সাথে একঝাঁক তরুণ শিল্পী। একটি গান লালনের, এটি গেয়েছেন নলীনি মণ্ডল। আর একটি গান ভবা পাগলার। ভবা পাগলার গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন অংশুমান এবং গেয়েছেন সাত্যকি ব্যানার্জি।

ছবিতে তরুণ নির্মাতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী ফয়সল। এছাড়া আরো অভিনয় করেছন ইকতারুল ইসলাম, তৃপ্তি সরেন, এমরান হোসেন, সেলিম হায়দার, প্রণব দাস, লিয়াকত লিকু, ইউসুফ ববি, জাহিদ হাসান, চিন্ময় চক্রবর্তী।

‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এবার সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাকি। নির্মাতা রেজা ঘটক আশা করছেন সেন্সরবোর্ড থেকে মুক্তির অনুমতি পেলেই আগামি নভেম্বর/ডিসেম্বরের দিকে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে।

Exit mobile version