শ্রীলঙ্কায় প্রায় তিনশ’ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া নৃশংস হামলাটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সহায়তায় স্থানীয় এক ইসলামিক দল চালিয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
কেবিনেট মন্ত্রী রাজিথা সেনারাত্নে বলেন, সাত আত্মঘাতী হামলাকারী যারা ইস্টার সানডের এই হামলা পরিচালনা করেছে, তারা ‘ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত’ এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
এই দলটি এরআগে বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙার মতো কাজও করেছিলো এবং ২০১৬ সালে তাদের এক নেতাকে আটক করা হয় ধর্মান্ধতা ছড়ানোর অভিযোগে।
বোমারুদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক খুঁজে বের করার জন্য পররাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসিনা।
প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানান, গোয়েন্দা তথ্য বলছে, বিদেশি সন্ত্রাসী সংস্থাগুলো এই স্থানীয় সন্ত্রাসীদের পেছনে কাজ করেছে। রাষ্ট্রপতি সেজন্য বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ভয়াবহ এই হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতের নাম পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জমা দেয়া হয়েছিল, সেখানেও ক্যাথলিক চার্চে হামলার হুমকির কথা উল্লেখ ছিলো। সেদেশের টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো একটি চিঠির ছবি টুইটারে তুলে ধরেছেন। যেখানে ‘সম্ভাব্য পরিকল্পিত আক্রমণের তথ্য’ শিরোনামের ওই চিঠিতে নাম এবং অন্যান্য বিষয়েও বিস্তারিত বলা হয়েছে।
কেন এই নৃশংসতা প্রতিরোধ করা হলো না এবং সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কেন তদন্ত করলেন না, সেজন্য আবারও টুইট করে তিনি কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী রনিল উইক্রেমেসিঙ্গে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই হামলার ব্যাপারে জানতেন না। তবে আমাদের নিশ্চয়ই দেখা উচিত, কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলো না।
রোববার সকালে শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের অনুষ্ঠানে ৩টি গির্জা ও ৩টি পাঁচ তারকা হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫শ’রও বেশি। এভাবে চার্চ ও হোটেলে বিদেশিদের হত্যার নৃশংসতা চালায় আইএস এবং আল কায়েদা।