প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ কামালের মত একজন মেধাবী এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বেঁচে থাকলে সমাজ ও দেশকে অনেক কিছুই দিতে পারতো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্রীড়া অনুরাগী শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অডিটোরিয়ামে শেখ কামালের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্য-স্বজনদের পাশাপাশি আর্মি অফিসাররা তাদের সহকর্মীদেরও হত্যা করেছে। আজ দেশের মানুষ মারা গেলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জনগণ বিচার চায়।
শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা আরো জানান, পঁচাত্তরে তার পরিবারের এতগুলো সদস্যের নির্মম হত্যার পরও তিনি বিচার পাননি।
শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই আলোচনা সভায় যুক্ত হন। এ সময় শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে একটি প্রকাশনারও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ও শেখ কামালের বড় বোন শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে শেখ কামাল কিছুই করেনি বরং নিজের বিয়ের পরে তাকে ৩২ নম্বরের বাড়ির তৃতীয় তলায় স্ত্রীসহ থাকার জায়গা করে দিতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সন্তানই বাবার হাত ধরে স্কুলে গেলেও আমাদের সেই সুযোগ হয়নি। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করায়, পরিবারের বড় ছেলে শেখ কামালকে শৈশব থেকেই ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মায়ের সাথে পরিবারের অনেক দায়িত্বও পালন করতে হয়েছে।
পঁচাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন একজন ব্যক্তি মারা গেলেও মানুষ আমার কাছে বিচার চায়। কিন্তু পঁচাত্তরে জাতির পিতাসহ তার পরিবারের তিন মুক্তিযোদ্ধা ও আর্মি অফিসার দুই ভাই হত্যার বিচার পাইনি। পরে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুপুর ১২টায় শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।
বিকেল ৩টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে এক লাখ চারাগাছ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শেখ কামাল। এবারই প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে নানা আয়োজনে তার জন্মদিন উদযাপন করতে যাচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।