চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। শৈত্যপ্রবাহে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন।শীতজনিত বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা, আলুসহ বিভিন্ন ফসল।

দিনাজপুরে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন পর্যন্ত এটিই এই জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জুর হোসেন জানান, দিনাজপুরে গত ৫দিন ধরে ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে। হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শুক্রবাার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও জানান, গত তিন দিন ধরে এই অঞ্চল দিয়ে শৈত্য প্রবাহ বইতে শুরু করেছে। তাই এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

সকালে প্রচণ্ড কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। দিনের মাঝামাঝি সময় সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। সেই সাথে তিন দিন ধরে বইছে শৈত্য প্রবাহ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আর শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। আর বিপাকে পড়েছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ১০ ফুট দূরেও কোনকিছু দেখা যায় না। সড়কে যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এর পরেও বাড়ছে দুর্ঘটনা।

শীতবস্ত্রের আশায় গরীব ছিন্নমূল মানুষ চেয়ে আছে। এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বালাই। হাসপাতালে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া, আমাশয়, হাঁপানি পেটেরপীড়াসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা।

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল ওয়াহেদ জানান, এই শীতে শিশুদের গরম কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে এবং শিশুদের যেন শীত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ঘন কুয়াশা ও শীতে বোরোর বীজতলা, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষক। দিনাজপুরের সদর উপজেলা উলিপুর এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে তার বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে। এতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করে ফসলে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে ছেঁটানো হচ্ছে।