বাংলাদেশে এখনও সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এজন্য আইনি প্রক্রিয়ার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে সীসাযুক্ত রঙের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে তরুণরা।
শনিবার ২৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সীসার প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে মানববন্ধনের আয়োজন করে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন – এসডো।
মানববন্ধনটি হাইকোর্টের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে একটি র্যালির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মানবদেহে বিশেষভাবে শিশুদের ক্ষেত্রে সীসাদূষণের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে উচ্চমাত্রার সীসাযুক্ত রঙ। সীসাদূষণের বিষক্রিয়ায় শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তি বাধাগ্রস্থ হয়, অমনোযোগীতা প্রকাশ পায়, শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় এবং আচরণগত সমস্যা হয়। তাই সীসা দূষণ হ্রাসে সব ধরণের সীসাযুক্ত রঙ নিষিদ্ধ করা এবং উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ডাব্লিউএইচও এর মতে, মানব দেহে সীসাদূষণের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। এসডো ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ রঙ এবং অন্যান্য পণ্যে সীসাদূষণ রোধে কাজ করে আসছে। মানবস্বাস্থ্য, বিশেষত শিশুদের উপর সীসা দূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে তুলে ধরেছে। সীসাযুক্ত রঙ নিষিদ্ধে আইন প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করতে এসডো সবসময়ই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
এই বছরের আন্তর্জাতিক সীসার প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০২১ মূল প্রতিপাদ্য আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সীসাযুক্ত রং এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।
প্রায় শতাধিক গার্লস গাইড, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এসডোর সদস্যগণ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানারসহ মানববন্ধনে যোগদান করে একটি সীসামুক্ত পৃথিবীর দাবি জানায়।
আন্তর্জাতিক সীসার প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০২১ হল লেড পেইন্ট অ্যালায়েন্সের একটি উদ্যোগ। এই উইক অব অ্যাকশন এর লক্ষ্য হল সীসা এক্সপোজারের স্বাস্থ্যের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো, সীসা এক্সপোজার প্রতিরোধের জন্য দেশ এবং অংশীদারদের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরা, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে; এবং সীসা দূষণ রোধে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো।